যে চোখ ক্যামেরায় রেখে তিনি ফ্রেমবন্দি করেছেন অনিল কাপুর, সানি দেওলদের। শেষজীবনে সঙ্গ দেয়নি সেই চোখ! ২০ বছর অন্ধত্বের মধ্যে জীবন কাটানোর পর অবশেষে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবির সিনেমাটোগ্রাফার পিটার পেরেইরা। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানান সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর।
পিটার পেরেইরা-র মৃত্যু সংবাদ ভাগ করে নেন অভিষেক বচ্চন। জুনিয়র বি জানান, ‘কিংবদন্তি’র প্রয়াণে তিনি মর্মাহত। শুরু সিনেমাটোগ্রাফার নয়, স্পেশ্যাল এফেক্ট প্রোভাইডার হিসাবেও কাজ করেছেন পিটার। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র মতো কালজয়ী ছবি তৈরি সম্ভবপর হত না পিটার পেরেইরা না থাকলে। গোটা ছবিটার স্পেশ্যাল এফেক্টের কাজ অন-ক্যামেরা, প্রোডাকশন চলাকালীন।
বলিউডের ফ্য়ান্টাসি জঁর ছবির নির্মাণে তাঁর জুড়ি মেলা ছিল ভার। ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’র পাশাপাশি ‘শেষনাগ’(১৯৯০), ‘আজুবা’ (১৯৯১), ‘বর্ডার’ (১৯৯৭), ‘আ গলে লাগ যা’(১৯৭৩)-এর মতো ছবির সিনেমাটোগ্রাফির দায়িত্ব সামলেছেন প্রয়াত পিটার পেরেইরা।
পিটারে মৃত্যুর সংবাদ ভাগ করে অভিষেক বচ্চন লেখেন, আজ আমাদের ইন্ডাস্ট্রি একজন কিংবদন্তিকে হারাল। পিটার পেরেইরা আমাদের বলিউডের সিনেমাটোগ্রাফির অগ্রদূত ছিলেন। সর্বশ্রেষ্ঠদের মধ্যে এক জন!' স্মৃতির পাতা হাতড়ে করে বচ্চন-পুত্র আরও লেখেন, ‘আমি ছোটবেলায় আমার বাবার সিনেমার সেটে তাঁকে দেখেছি। এখন মনে পড়ে দয়ালু, প্রেমময়, উজ্জ্বল মানুষটিকে। শান্তিতে থাকুন, স্যর।’
আরও পড়ুন- অক্সিজেন সাপোর্টে অনীক দত্ত, ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে থাকবেন পরিচালক
ফিল্মমেকার হেমন্ত চতুর্বেদীর ডকুমেন্ট্রিতে শেষবার দেখা মিলেছিল পিটারের। ১৯৫০ থেকে ২০০০- হিন্দি চলচ্চিত্রের পঞ্চাশ বছরে বাছাই করা ১৪ জন চিত্রগ্রাহককে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছিলেন হেমন্ত। সেখানেই দেখা গিয়েছিল পিটার পেরেইরাকে। শেষজীবনে পিটারকে মনে রাখেনি হিন্দি সিনেমা জগত, আক্ষেপের সুরে লেখেন হেমন্ত চতুর্বেদী। অভাবের মধ্যে নিঃসঙ্গ জীবন কেটেছে এই জিনিয়াসের। হিন্দি ছবির জন্য নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন পিটার, অথচ ‘স্বার্থপর ইন্ডাস্ট্রি’ তাঁকে মনে রাখেনি। তিনি লেখেন, ‘তিল তিল করে ছবির পূর্ণাঙ্গ রূপ ফুটিয়ে তোলেন যাঁরা, তাঁদের নাম নজরে আসে না।' পিটার পেরেইরা- মতো আর দ্বিতীয় কেউ হতে পারবে না, লেখেন হেমন্ত চতুর্বেদী।
আরও পড়ুন-অভিনয় কেরিয়ারে ইতি! আগামী সপ্তাহে বিয়ে ‘ঊষসী’র, আমেরিকায় সংসার পাতবেন রুশা
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup