বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > মৃণাল সেনের চিত্রনাট্য,পুরস্কার সব বাংলা ছেড়ে চলে গেলে শিকাগোয়! আবেগঘন পুত্র

মৃণাল সেনের চিত্রনাট্য,পুরস্কার সব বাংলা ছেড়ে চলে গেলে শিকাগোয়! আবেগঘন পুত্র

স্মৃতিটুকু থাক…

কলকাতায় মৃণাল সেনের স্মৃতি আর্কাইভ করবার 'উপযুক্ত জায়গার অভাব', শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতেই এই গুরুভার তুলে দিলেন পুত্র কুণাল সেন। 

রাজা চলে গিয়েছেন আগেই.. তার স্মৃতিচিহ্ন হিসাবে রয়ে গিয়েছিল তিনটি কাঠের বাক্স। সেই বাক্সে ভর্তি প্রয়াত পরিচালকের পুরস্কার,নথিপত্র। সেগুলি এবার শুধু বাংলা ছেড়েই নয়, ভারত ছেড়ে চলে গেল সূদূর শিকাগোয়। এখন থেকে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সংরক্ষিত করে রাখা থাকবে এই বাঙালি পরিচালকের স্মৃতিবিজাড়িত সেইসব জিনিস। নেটমাধ্যমে সে কথা জানিয়েছেন মৃণাল সেনের একমাত্র পুত্র কুণাল সেন। দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন মুলুকের স্থায়ী বাসিন্দা তিনি। 

ফেসবুক পোস্টে কুণাল জানিয়েছেন, মৃণাল সেনের চলচ্চিত্রের অধিকাংশ চিত্রনাট্য বা নথিপত্রের অধিকাংশ নেই। কারণ পিছন ফিরে তাকানোয় কোনওদিনই বিশ্বাসী ছিলেন না ‘ভুবন সোম' পরিচালক।  কুণালের কথায়, ‘স্মৃতিচারণ করার প্রতি অভক্তি অথবা নিছক আলস্য থেকেই হয়ত কোনও লেখালেখি যত্ন করে রাখেননি বাবা। আর তাই এখন আমি জিনিসপত্র জড়ো করতে গিয়ে দেখলাম, কেবল ৩টি বাক্স ভর্তি হয়েছে। কিন্তু তাঁর ঘটনাবহুল জীবনের সাক্ষী কেবলমাত্র তিনটি বাক্স, এটা ভাবতে গিয়ে বিস্মিত হচ্ছি। কিন্তু কিছু বলবার নেই'।

শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফেই মৃণাল সেনের স্মৃতিচিহ্নগুলি সংরক্ষণের প্রস্তাব এসেছিল কুণালের কাছে।মৃণাল পুত্র লেখেন, ‘আমি তাদের বিশেষ সংরক্ষণাগারটি দেখেছি। তাদের দীর্ঘ ঐতিহ্য সম্পর্কে জানি। আমি বিশ্বাস করি, তারা এগুলো সংরক্ষণ করতে পারবে’।

কুণালের এই উদ্যোগের সাধুবাদ জানিয়েছেন বেশিরভাগ নেটিজেনই। ওখানে বিশ্ববরেণ্য পরিচালকের কাজ সঠিকভাবে আকার্ভাই করা হবে, মত সকলের। তবুও আক্ষেপের সুরে এক নেটিজেন লিখেছেন, ‘জানি না ঠিক কী রিঅ্যাক্ট করা উচিত! মনে মনে এটা জানি যে ওখানে থাকলে অবশ্যই এদেশের যেকোনো আর্কাইভের থেকে যত্নে থাকবে। আরও বেশি সংখ্যক গবেষক ব্যবহার করতে পারবেন। তবু মৃণাল সেনের কলকাতা, তাঁর কাজ যোগ্য মর্যাদায় রাখতে পারল না তাতেও দুঃখের কারণ যথেষ্ট’। পালটা জবাব দিয়ে কুণাল সেন জানান, ‘কলকাতায় রাখার উপযুক্ত জায়গা পেলে আমারও ভালো লাগত’। 

বন্ধ করুন