জি বাংলার ধারাবাহিকের মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’। একের পর এক পর্বে যেভাবে গল্প পাল্টাচ্ছে, তাতে দর্শকরা ভীষণ আনন্দিত। সম্প্রতি গল্পে দেখা গিয়েছে, বাড়ি থেকে জোর করে অপর্ণার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হচ্ছিল হিন্দোলের সঙ্গে।
মা বাবা জোর করায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও কাউকে কিছু বলতে পারে না অপর্না। যদিও বিয়ের রাতেই সে পালিয়ে চলে যায় আর্যর কাছে, কিন্তু অপর্ণাকে পালিয়ে বিয়ে করতে রাজি হয় না আর্য। সে আবার তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসে। আর্যর প্রতি অভিমান নিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসে যায় অপর্না।
আরও পড়ুন: লাল পাড় সাদা শাড়িতে সেজে উঠলেন নুসরত, করলেন মায়ের বরণ
আরও পড়ুন: 'মা ছাড়া সংসার অসম্পূর্ণ...', কবিরের সঙ্গে সিঁদুর খেলায় মাতলেন কোয়েল
কিন্তু শেষ মুহূর্তে মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বড় পদক্ষেপ নিয়ে নেয় অপর্ণার মা। বিবাহ মণ্ডপে চালিয়ে দেয় অপর্ণা এবং আর্যর প্রেমের মুহূর্তের ভিডিয়ো। উপস্থিত সকলে হতভম্ব হয়ে যায়। অপর্ণা বিশ্বাসই করতে পারে না, তার জন্য মা এত বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু হাজার হোক মা তো, তাই মেয়ের কষ্ট দেখতে না পেরে সবার সামনে আপনার ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন তিনি।
এদিকে বিয়ে ভেঙে যাওয়ায় রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে সেখান থেকে চলে যায় হিন্দোল এবং তার মা। ব্যাস এইটুকুই রোল ছিল মৃত্যুঞ্জয়ের। এবার তার ছুটি। তবে অভিনয় চালিয়ে যাবেন, অন্য ধারাবাহিকে, অন্য চরিত্রে, অন্য রূপে।
আরও পড়ুন: লাল শাড়িতে নতুন বউ সেজে মাকে বরণ করলেন শুভশ্রী, গোলাপি পাঞ্জাবিতে সঙ্গ রাজের
আরও পড়ুন: অভিষেকের কোলে ছোট্ট কুমারী, নবমীর সকালে আবেগপ্রবণ সাইনা
‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ধারাবাহিকের এই স্বল্প দিনের চরিত্র সম্পর্কে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মৃত্যুঞ্জয় বেশ কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিগুলি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘গত এক মাস ধরে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি, অনেক গালি খেয়েছি সেটাই আমার কাছে ভালোবাসা। এবারের মতো হয়তো এইটুকুই। আবার পরে অন্য কোথাও অন্য ভাবে দেখা হবে। সবাই ভালো থাকবেন। শুভ বিজয়া।’
প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত জীবনে মৃত্যুঞ্জয় একসময় শার্লি মোদকের সঙ্গে সম্পর্কের থাকলেও সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। প্রাক্তনের বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তাই প্রেমিকা চৈতালি দত্তের সঙ্গে নতুন জীবন শুরু করেন তিনি। চৈতালি পেশায় একজন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর। হবু স্ত্রীর দিদিমা অসুস্থ হওয়ায় আইনি বিবাহ সেরে নিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়।