রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ নিয়ে চর্চার শেষ নেই। কিন্তু যতটা গর্জাল বক্স অফিসে ততটা বর্ষাল না এই ছবি! হ্যাঁ, ছবির প্রথম তিনদিনের বক্স অফিস রিপোর্ট তাই বলছে! আবেগে ভরপুর এই ছবির টিকিট বিক্রির হার আগের দু-দিনের চেয়ে রবিবার সামান্য বাড়লেও ছক্কা হাঁকাতে ব্যর্থ রানি।
মুক্তির প্রথম দিন বক্স অফিসে মাত্র ১.২৭ কোটি টাকা কামাই করেছিল ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’, তিন নম্বর দিন শেষে ছবির আয় দাঁড়িয়েছে ৬.৪২ কোটিতে। তৃতীয় দিনেই সর্বোচ্চ ২.৮৯ কোটি টাকা ঘরে এনেছেন রানি-অনির্বাণরা। বাংলার মেয়ে সাগরিকা চট্টোপাধ্যায়ের অদম্য লড়াইয়ের বাস্তব কাহিনি পর্দায় তুলে ধরছেন পরিচালক অসীমা ছিব্বর। সন্তানদের লালন-পালনে ব্যর্থ সাগরিকা ও তাঁর স্বামী অনুরূপ ভট্টাচার্য, এই অভিযোগে নরওয়ে সরকার ছিনিয়ে নিয়েছিল তাঁর দুই সন্তান অভিজ্ঞান ও ঐশ্বর্যকে। তাঁদের পাঠানো হয়েছিল ফস্টার কেয়ারে। এরপর গোটা একটা দেশের সঙ্গে লড়াইয়ে নামেন সাগরিকা, সেই আবেগঘন, হৃদয়বিদারক ঘটনাই উঠে এসেছে পর্দায়।
সমালোচকদের থেকে প্রশংসা কুড়িয়েছে রানির এই ছবি। ‘মিসেস চ্যাটার্জি…' ছবিতে রানির স্বামীর চরিত্রে দেখা গিয়েছে অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে। এছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন জিম সর্ব, নীনা গুপ্তা, সৌম্য মুখোপাধ্য়ায়রা।
ছবির বক্স অফিস আপটেড শেয়ার করে ট্রেড অ্যানালিস্ট তরণ আদর্শ লেখেন, ‘একটু একটু করে মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ের উন্নতি ঘটেছে….একটা ইতিবাচক দিক দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনের কালেকশনের এই বৃদ্ধি। মাল্টিপ্লেক্সেই এই ছবি ভালো ব্যবসা করছে…’।
এক নজরে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’-এর ব্যবসার হালহাকিকত-
শুক্রবার- ১.২৭ কোটি টাকা*
শনিবার- ২.২৬ কোটি টাকা
রবিবার- ২.৮৯ কোটি টাকা
মোট- ৬.৪২ কোটি টাকা
(* দেশের বক্স অফিসে আয়)
'মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে'তে মুগ্ধ বলিউড ইন্ডাস্ট্রি। ছবিতে মুগ্ধ বাদশা। শাহরুখ টুইটারে গোটা টিমের তারিফ করে দিন কয়েক আগেই লেখেন- ‘মিসেস চ্যাটার্জি বনাম নরওয়ে পুরো টিমের কী অসাধারণ প্রচেষ্টা! ‘আমার রানি’ কেন্দ্রীয় চরিত্রে একদম জ্বলজ্বল করছে, যা কেবল একজন রানিই পারেন। পরিচালক অসীমা সংবেদনশীলতার সঙ্গে একজন মায়ের সংগ্রাম দেখিয়েছেন। জিম সার্ভ, অনির্বাণ, সৌম্য মুখার্জি, সকলেই অসাধারণ! ‘অবশ্যই দেখা উচিত’-এর তালিকায় এই ছবি।'
যদিও এই ছবি নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত। গত শুক্রবার টুইটারে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হ্যান্স জেকব ফ্রাইডেনলুন্ড জানান, ‘এই ছবিটি একেবার ভুল তথ্যে ভরা। নরওয়ের নাগরিক হিসাবে আমার এই বিষয়টা পরিষ্কার করে দেওয়া কর্তব্য যে এই ছবিটিতে তথ্যগত ভুল রয়েছে। এই ছবিতে দুই দেশের সাংস্কৃতিক পার্থক্য দেখানো হয়েছে, সে়টাও সম্পূর্ণ সত্য নয়।’ যদিও এই টুইটের বিরুদ্ধে পালটা তোপ দাগেন সাগরিকা চট্টোপাধ্যায়। বাস্তবের মিসেস চ্যাটার্জি বলেন, নরওয়ের সরকার তাঁর জীবন নষ্ট করে ক্ষমা পর্যন্ত চায়নি, আর এখনও তাঁর নামে মিথ্যাচার এবং কুৎসার প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।