বক্সঅফিসে রমরমিয়ে চলছে রানি মুখোপাধ্যায়ের ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবিটি। তবে যে নারীর গল্প নিয়ে এই সিনেমা, তাঁর জীবন সংগ্রাম কিন্তু এখনও শেষ হয়নি। বরং এই ছবি যখন সিনেমাহলে দর্শকদের চোখে জল এনে দিচ্ছে, তখন কোথাও বসে চোখের জল ফেলছেন সাগরিকাও। ছবি সামনে আসতে যেমন তাঁর মাতৃত্বের লড়াই প্রকট হয়েছে, তেমনই প্রকট হয়েছে দাম্পত্যের সমস্যাও।
রিয়েল লাইফ ‘মিসেস চ্যাটার্জি’ সাগরিকা চক্রবর্তীর উপর বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন এবার তাঁর স্বামী অনুরূপ ভট্টাচার্য। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে দাবি করে বসলেন আমরি হাসপাতালে কর্মরত থাকাকালীন নাকি সেখানকার চিকিৎসকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সাগরিকার। তবে এসব কথা হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়েছেন সাগরিকা নিজেই।
আসলে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবি-র একটি দৃশ্যে দেখানো হয়েছে যে ‘মিসেস চ্যাটার্জি’-র গায়ে হাত তুলতেন ‘মিস্টার চ্যাটার্জি’। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে নরওয়ের রাষ্ট্রদূত। এবার সাগরিকাকে নিয়ে মুখ খুললেন তাঁর স্বামী অনুরূপ (আলাদা থাকলেও খাতায়-কলমে বিচ্ছেদ হয়নি)।
সাগরিকা প্রসঙ্গে বলেন, ‘ও দেড় বছর ভারতে ছিল। সেখানে কী করেছে না করেছে আমার জানা নেই। আমার কাছে সে ফিরতেই চাইনি। হাতে পায়ে ধরে ওকে ফিরিয়ে আনতে হয়েছে।’ সত্যি কি কোনও বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সাগরিকা? তাতে অনুরূপের জবাব, ‘ও যখন আমরিতে কাজ করত সেই সময় সেখানকার ডাক্তারদের সঙ্গে কিছু সম্পর্ক ছিল সাগরিকার, এমনটাই শুনেছিলাম। তবে এটা আমার শোনা কথা। যেহেতু আমি বিষয়টা সঠিক জানি না তাই মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
সঙ্গে সাগরিকার স্বামীর দাবি তাঁর বউ নরওয়েতে বিরাট নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে তিন দিন ছিলেন। বিরাটকে চিনতেন না অনুরূপ। জানেন সন্তানদের বিষয়ে এই বিরাটের থেকে সাহায্য নিয়েছেন সাগরিকা।
অনুরূপ এই সাক্ষাৎকারেই জানিয়েছেন, তাঁর ভয় দেশে ফিরলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করিয়ে দেবেন সাগরিকা। তিনি এই মুহূর্তে নরওয়ের নাগরিক। সেই দেশের আইন অনুযায়ী তাঁদের ডিভোর্স হয়ে গেলেও ভারতীয় আইনে তাঁরা এখনও স্বামী-স্ত্রী। সঙ্গে আফশোস প্রাণের থেকে প্রিয় যেই ছেলেমেয়ে তাঁদেরই কাছে পান না
তবে অনুরূপের তোলা এই সব অভিযোগই উড়িয়ে দিয়েছেন সাগরিকা। বরং ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমি মা হিসেবে নিজের সব দায়িত্ব পালন করছি। নিজে চাকরি করে সংসার চালাচ্ছি। ও বাবা হিসেবে কোন দায়িত্ব পালন করেছে। আর দেখাক কোন কাগজ অনুসারে আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে।’
আমরি প্রসঙ্গে সাগরিকার মা বলেন, ‘আমার মেয়ে বিয়ের আগে ওই হাসপাতালে চাকরি করত। সেটা নিয়েও এরকম বাজে কথা। বেঁচে গেছে মেয়েটা আমার।’
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)