মিস ইউনিভার্স ২০১৯ এ স্টিভ হার্ভের ভুল বিজেতার নাম ঘোষনা নিয়ে বানানো মিম এখনও চোখে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে, মিসেস শ্রীলঙ্কা ২০২১-র ফাইনালে যা ঘটল তা বোধহয় কল্পনার অতীত! বিজয়ীর নাম ঘোযণা হয়ে মাথায় মুকুট পরিয়ে দেওয়ার পর তা একপ্রকার ছিনিয়ে নেওয়া হল। পরানো হল ফার্স্ট রানার আপকে। তারপর? সেই মুকুট ফের উঠল প্রথম বিজয়ীর মাথাতেই।
ব্যাপারটা একটু খোলসা করেই বলা যাক। এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘মিসেস শ্রীলঙ্কা’ ২০২১-র খেতাব জেতেন বিউটি কুইন পুষ্পিকা ডি সিলভা। পুষ্পিকাকে বিজয়ী ঘোষণার কয়েক মুহূর্ত পর ওই একই মঞ্চে উপস্থিত প্রাক্তন মিসেস শ্রীলঙ্কা ২০১৯ দাবি করেন, পুষ্পিকা পুরস্কার পাওয়ার অযোগ্য। কারণ, তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। শুধু বলেই চুপ করে যাননি, একপ্রকার ছিনিয়ে নিয়ে ডি সিলভার মাথার মুকুট পরিয়ে দেন ফার্স্ট রানার আপকে।
টানাটানির এক পর্যায়ে পুষ্পিকা মাথায় আঘাত পান। চোখে জল নিয়ে মঞ্চ ত্যাগ করেন। চোটের কারণে নাকি হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় ডি সিলভাকে।
মিসেস শ্রীলঙ্কা ২০১৯ ক্যারোলিন জুরির দাবি ছিল, ‘নিয়ম অনুযায়ী, বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে এমন কেউ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারে না। ডি সিলভার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। যা তিনি নির্মাতাদের কাছে লুকিয়ে গিয়েছেন। তাই, এই মুকুট প্রাপ্য দ্বিতীয় স্থান অধিকার করা প্রতিযোগীর।’
ডি সিলভা অবশ্য ততক্ষণাৎ জানান, তাঁর ডিভোর্স হয়নি। তবে, সেপারেশন চলছে। পরে মিসেস শ্রীলঙ্কার আয়োজকেরা নিশ্চিত হয়েছেন ডি সিলভা ‘ডিভোর্সি’ নন। তাঁর মুকুট ও পুরস্কারও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মিসেস শ্রীলঙ্কা ওয়ার্ল্ডের জাতীয় পরিচালক চন্ডিমাল জয়াসিংহে মিডিয়াকে জানিয়েছেন, পুষ্পিকা ডি সিলভাকে মঙ্গলবার তাঁর প্রাপ্য মুকুট ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এক ফেসবুক পোস্টে পুষ্পিকা ডি সিলভা জানিয়েছেন তিনি এই অপমানে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। অপর এক পোস্টে মিসেস শ্রীলঙ্কা ২০২১ লেখেন, ‘আমি সেই নারী নই, যে অন্য নারীর মাথা থেকে মুকুট ছিনিয়ে নেয়। আমি সেই নারী, যে অন্য নারীকে মুকুট পরিয়ে দেয় নীরবে।’