২০২১ সালের ৩১ মে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন কেকে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Krishnakumar Kunnath)। সংগীত পাগল মানুষটার জীবন শেষ হয়েছিল স্টেজ পারফরমেন্স দিয়েই। লাইভ শো-র পরেই হার্ট অ্যাটাক, হাসপাতালে ভর্তি করার সময়ও পাওয়া যায়নি। হৃদয় বিদারক সেই স্মৃতি আজও তাড়া করে গায়কের ভক্তদের। তবে খুব জলদি তাঁরা শুনতে পারবেন কেকে-র গাওয়া শেষ গান। অনিল কাপুর , দিব্যা খোসলা এবং হর্ষবর্ধন রানে অভিনীত সাভি-তে।
কেকে-র গাওয়া শেষ গান:
সাভি-র ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে মঙ্গলবারে। প্রযোজক মুকেশ ভাট জানিয়েছেন যে, ছবিতে প্রয়াত গায়ক কেকে-র রেকর্ড করা শেষ গানটি অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এই গান রেকর্ড করার পরই চলে যান গায়ক।
মুকেশ ভাট মিডিয়ার সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে স্মরণ করেন কেকে-র সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ বন্ধুত্ব। এবং কীভাবে দুজনে মিলে উপহার দিয়েছেন বলিউডের একাধিক চার্ট-টপিং গান। ভাটসাহেব আরও জানান, এই গানটি রেকর্ড করার সপ্তাহখানেক পরেই মারা গিয়েছিলেন গায়ক।
আরও পড়ুন: জলের উপরে অনন্ত-রাধিকার দ্বিতীয় প্রি ওয়েডিং, বলিউড থেকে কারা আমন্ত্রিত থাকছেন?
কলকাতায় কেকে-র মৃত্যু:
কলকাতার নজরুল মঞ্চে ছিল কেকে-র শেষ স্টেজ পারফরমেন্স। আর সেদিন স্টেজ থেকে নেমেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিকটবর্তী হাসপাতালে। তবে সেখানকার চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এসএসকেএম হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর শিল্পীর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে। সেই সময় বড় বিতর্কে জড়ায় তিলোত্তমা। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তাদের চরম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, অতিরিক্ত ভিড় ছিল সেদিন। কাজ করছিল না এসি। যদিও ময়না তদন্তের রিপোর্টে ছিল, হঠাৎ হৃদরোগেই চলে যান তিনি। গান স্যালুটে কলকাতা শেষ বিদায় জানায় তাঁকে। কফিনবন্দি দেহ এরপর নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বইতে।
কেকে 'তড়াপ তড়াপ', 'ইয়াদ আয়েঙ্গে ওহ পাল', 'আঁখো মে তেরি'-র মতো বহু হিট গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। ২৬ বছরের কেরিয়ারে কে কে তামিল, তেলেগু, মালায়লাম-সহ আরও বেশ কিছু ভাষায় গান গেয়েছেন। গান গেয়েছেন মরাঠি ভাষাতেও।
আরও পড়ুন: ‘কিছু সম্পর্ক থাকে…’, সত্যি কি কোনোদিন প্রেম ছিল তাদের? জবাব প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার
সাভি সিনেমা প্রসঙ্গে:
সাভি-তে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন দিব্যা খোসলা কুমার। আর তাঁর স্বামী নকুলের চরিত্রে হর্ষবর্ধন কাপুর। টানটান উত্তেজনা মোড়া এই থ্রিলারধর্মী সিনেমায় দেখা যাবে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হন হর্ষবর্ধন। আর দিব্যার চরিত্র জানতে পারে, কেউ তাঁর স্বামী নকুলকে জেলের মধ্যেই খুন করার চেষ্টা করছে। অনিল কাপুরের সাহায্য নিয়ে জেল ভেঙে বের করার প্রস্তুতি শুরু হয়। লন্ডনের সবচেয়ে বড় কারাগার থেকে সাভি বের করে আনে নিজের বরকে।