‘বেশরম রং’ বিতর্ক যেন থামার নাম নিচ্ছে না। মুক্তির পর থেকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে শাহরুখ-দীপিকার ‘পাঠান’ ছবির এই গান। এই গানের দৃশ্যায়ণে দীপিকার বিকিনির ‘গেরুয়া’ রং নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে একাধিক হিন্দু সংগঠন। এই গান হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হেনেছে এমন অভিযোগ তাঁদের। ‘বেশরম রং’ নিয়ে ফের সুর চড়ালেন ‘শক্তিমান’ মুকেশ খান্না।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলের একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা। সেখানেই ‘পাঠান’ নির্মাতাদের পাশাপাশি হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। দক্ষিণী পরিচালক লীনা মণিমেকেলাই-এর তথ্যচিত্রে ‘বহুরূপী’ কালীর ঠোঁটে সিগারেট থেকে ‘লক্ষ্মী’ ছবির পাশে ‘বম্ব’ শব্দের প্রয়োগ কিংবা ‘আদিপুরুষ’ ছবিতে ‘রাবণ’কে ‘খিলজি’ হিসাবে তুলে ধরা- সবকিছুর মাধ্যমে বারেবারে হিন্দুধর্মকে টার্গেট করছেন চলচ্চিত্র নির্মাতারা, অভিযোগ মুকেশের।
তিনি যোগ করেন, ‘পাঠানের গানে অশ্লীলতার সব সীমা পাড় করা হয়েছে। হিরোইনকে ইচ্ছাকৃতাবে গেরুয়া বিকিনি পরানো হয়েছে। এগুলো বিতর্ক তৈরির প্রয়াস। যাতে ছবি প্রচারের আলোয় আসে। লোকের ধারণা এইসব করলে লোকে ছবিটা দেখতে আসবে। এদের এই সব চাল আমার জানা আছে। সকলে হিন্দুধর্মকে সফট টার্গেট ধরে নিয়েছে।’
ইনস্টাগ্রামে নিজের ভিডিয়ো শেয়ার করে অভিনেতা লেখেন- ‘এটা যদি আপনার অশ্লীল না হয় তাহলে কাল আপনারা পর্ন ফিল্ম বানাবেন।’ মুকেশ খান্না চাঁচাছোলা ভাষায় বলেন, ‘গেরুয়া রঙের বিকিনি পরে নায়িকাকে নাচাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, জুম করে সবাইকে দেখানো হচ্ছে, বিকিনিটা গেরুয়া রঙের। এত অভদ্রতা আর অশ্লীলতা! উপরন্তু গানে বার বার বেশরম বলে গেরুয়া রঙের অপমান করা হচ্ছে!’
গোটা বিষয় নিয়ে সেন্সর বোর্ডের আরও বেশি সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে জানান মুকেশ খান্না। ইতিমধ্যেই সেন্সর বোর্ড এই গানে বেশকিছু পরিবর্তন আনতে বলেছে। তবে মুকেশ খান্না জানান, ‘শুধু কথা পালটে কিছু হবে না, এই ড্রেস (গেরুয়া বিকিনি) বদল করতে হবে’। সেন্সর বোর্ডের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের হিন্দু ধর্মের জ্ঞান না থাকলে-তাদের সেই আসনে বসবার কোনও অধিকার নেই এমনটাও বলে বসলেন মুকেশ খান্না। আর্থিক ক্ষতি হলে তবেই উচিত শিক্ষা পাবে নির্মাতারা তাই ‘বয়কট সংস্কৃতি’কেও সমর্থন জানান মুকেশ খান্না।
এই প্রথম নয়, এর আগেও ‘বেশরম রং’ নিয়ে কটাক্ষ করে মুকেশ খান্না বলেছিলেন- ‘এখন এইটুকু পরেছে, এরপর তো উলঙ্গ হয়ে নাচবে’। এই বিতর্কের শেষ কোথায়? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন!