লকডাউনের জেরে দূরদর্শনের পর্দায় ফিরেছে আশি ও নব্বইয়ের দশকের আইকোনিক শো রামায়ণ ও মহাভারত। ত্রিশ বছর পরেও এই দুই শোয়ের প্রাসঙ্গিকতার কথা বলতে গিয়ে সোনাক্ষী সিনহাকে একহাত নিলেন অভিনেতা মুকেশ খান্না। যিনি শক্তিমান নামেই গোটা দেশে পরিচিত। মহাভারতে ভীষ্মের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মুকেশ খান্না। তিনি জানান, ‘রামায়ণ-মহাভারতের টিভির পর্দায় ফিরে আসাটা অনেকেরে কাজে লাগবে, যারা আগে এই শোগুলো দেখেনি। এটা সোনাক্ষী সিনহার মতো মানুষদের সাহায্য করবে যাঁদের আমাদের পুরাণ বা মহাকাব্য নিয়ে কোনও জ্ঞান নেই। ওঁরা এটাও জানে না ভগবান হনুমান কাঁর জন্য সঞ্জিবনী আনতে গিয়েছিলেন। একটা ভিডিয়ো দেখলাম যেখানে কিছু ছেলেকে প্রশ্ন করা হয়েছে কংস কারা মামা, তারা উত্তর দিতে ভয় পাচ্ছে। কেউ বলল দুর্যোধন, কেউ অন্যকিছু। পুরাণ নিয়ে এরা কিছুই জানে না’।
গত বছর সেপ্টেম্বরে কৌন বনেগা ক্রোড়পতি শো’তে গিয়ে সোনাক্ষী এই সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে ব্যর্থ হন। তিনি বলতে পারেননি কার জন্য সঞ্জিবনী আনতে গোটা পর্বত তুলে এনেছিলেন হনুমান। সোনাক্ষীর সামনে চারটি অপশন ছিল-সুগ্রীব,লক্ষণ,সীতা এবং রাম। তা সত্ত্বেও উত্তর দিতে পারেন নি দাবাং গার্ল। সেইসময়ই ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল নায়িকাকে।
সঞ্চালক অমিতাভ বচ্চন রীতিমতো ক্লাস নিয়েছিলেন সোনাক্ষীর। তিনি বলেছিলেন, ‘ আপনার পিতার নাম শক্রুঘ্ন, আপনি যে বাড়িতে থাকেন তাঁর নাম রামায়ণ। আপনার সব কাকাদের নাম রামায়ণের সঙ্গে সম্পর্কিত। আপনি এটা জানেন না যে লক্ষণ কার জন্য সঞ্জিবনী বুটি আনতে গিয়েছিলেন?
জবাবে সোনাক্ষী জানিয়েছিলেন, আমার মনে হচ্ছিল কিন্তু আমি নার্ভাস হয়ে পড়েছিলাম। কোনওরকম চান্স নিতে চাইনি। দর্শকাসনেই বসেছিলেন সোনাক্ষীর মা পুনম সিনহা। গোটা বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দিতেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। প্রসঙ্গত, সোনাক্ষীর দুই ভাইয়ের নাম লব-কুশ। রাম-সীতার পুত্রদের নামানুসারেই দুই ছেলের নাম রেখেছেন শত্রুঘ্ন সিনহা।