সুশান্ত সিং রাজপুত এবং তাঁর ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের মৃত্যু মামলায় আরবাজ খান (Arbaaz Khan) ও তাঁর পরিবারের নাম জড়ানো থেকে বিরত থাকুক নেটিজেনরা। সোমবার মুম্বইয়ের এক দেওয়ানি আদালত (Bombay Civil Court) দিল্লির এক সংবাদকর্মী সাক্ষী ভান্ডারি, আইনজীবী বিভোর আনন্দ এবং একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারকে এই মামলায় আরবাজ ও তাঁর পরিবারের নাম জড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। টুইটার,ফেসবুকে একাধিক পোস্ট ও কমেন্টে আরবাজের নাম সুশান্তে ও দিশার রহস্য মৃত্যু তাঁরা জড়িয়ে অভিনেতা ও তাঁর পরিবারের মানহানি করছে। এমনই দাবি তুলে গত সপ্তাহে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরবাজ।
মানহানির মামলা দাখিল করবার পাশাপাশি আরবাজ এই মামলায় তাঁর নাম জড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনওরকম মন্তব্য প্রকাশ সম্পর্কে বিরতি চেয়েছেন, পাশাপাশি যে সমস্ত মন্তব্য ইতিমধ্যেই রয়েছে তা তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন।
এই মামলায় দায়ের করবার সময় সমস্ত মাইক্লো ব্লগিং সাইট- ফেসবুক, টুইটার, গুগল, ইউটিউবেও পার্টি হিসাবে চিহ্নিত করেছিলেন আরবাজ খান। কারণ সেই সমস্ত প্ল্যাটফর্মেই সুশান্ত এবং দিশার মৃত্য সংক্রান্ত কনটেন্ট রয়েছে। যেখানে আরবাজ ও খান পরিবারের নামে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।
১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর পর থেকেই একধিক রহস্যজনক তত্ত্ব সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে এসেছে। যার মধ্যে অন্যতম সুশান্তের প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের সঙ্গে সুশান্তের মৃত্যুর যোগ। সুশান্তের মৃত্যুর দিন কয়েক আগে ৮ই জুনের রাতে রহস্যজনক পরিস্থিতিতে মৃত্যু হয় দিশার। দুজনের মৃত্যুর সঙ্গেই নাকি যোগ রয়েছে আরবাজের এমনটা দাবি করা হয়েছিল বিভোর আনন্দ এবং সাক্ষী ভান্ডারির বেশ কয়েকটি পোস্টে। যে ‘ভুয়ো দাবি’র বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন আরবাজ।
সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক গুলির তরফে তাঁদের আইনজীবীরা এদিন সওয়াল-জবাবের সময় জানায়- এই মামলায় অযথা তাঁদের নাম জড়ানো হচ্ছে এবং তাঁদের পক্ষ হিসাবে তুলে ধরা হচ্ছে।এই মামলার বিস্তারিত জবাব দিতে সময় প্রার্থনা করেছেন তাঁরা। আদালত তাঁদের ২ সপ্তাহের সময় দিয়েছে।
আগামী শুনানির আগে পর্যন্ত বিভোর আনন্দ,সাক্ষী ভান্ডারি সহ বাকি নেটিজেনদের খান পরিবারের নাম জড়িয়ে কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক গুলিকেও এই ধরণের মন্তব্য তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য সুশান্ত মামলায় এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন আরবাজ খানের ভাই সোহেল খানের শ্যালক বান্টি সচদেব। বলিউডের জনপ্রিয় ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি কর্নারস্টোনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ বান্টি। যে কোম্পানিতে কাজ করতেন দিশা সালিয়ান। বান্টিকে বেশ কয়েকবার জেরা করেছে সিবিআই।
অন্যদিকে এনসিবির মামলার জেরে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা বলিউডের অপর ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি Kwan-এর সঙ্গে সলমন খানের যোগ রয়েছে এমন দাবি করা হয়েছিল বেশ কিছু মিডিয়া রিপোর্টে। তবে সলমনের আইনজীবী বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেন- Kwan-এর সঙ্গে সলমন খানের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও সম্পর্ক নেই। অযথা যেন তারকার বিরুদ্ধে গুজব না ছড়ানো হয়।