কঙ্গনা রানাওয়াতের বিরুদ্ধে ধর্মীয় উত্তেজনার ছড়ানোর অভিযোগে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিল মুম্বইয়ের এক আদালত। সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করেছেন কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেল এমনই অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
এদিন বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট মেট্রোপলিটন কোর্টের তরফে পুলিশকে কঙ্গনা ও তাঁর দিদির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক অভিযোগকারীর পিটিশনের শুনানিতে এই রায় দেয় আদালত। সাম্প্রদায়িক অন্তোষ ও ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্চেন কঙ্গনা ও রঙ্গোলি- এই অভিযোগ এনে কাস্টিং ডিরেক্টর তথা ফিটনেস ট্রেনার মুন্নাওয়ার্লি সৈয়দ মামলা দায়ের করেছিলেন আদালতে।
এদিন নিজের রায়ের কপিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জায়দেও খুলে জানান- ‘প্রাথমিকভাবে যা অভিযোগ জমা পড়েছে তাতে অভিযুক্ত শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলেই উঠে আসছে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াতে করা মন্তব্যের ভিত্তিতে এই অভিযোগ- টুইটার এবং নানান সাক্ষাত্কার। অভিযুক্ত টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেছেন। যদিও এই নিয়ে বিস্তারিত তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বিশেষজ্ঞদের দ্বারা… অনুসন্ধান এবং প্রমাণ বাজেয়াপ্ত করা জরুরি’।
অভিযোগকারী ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ২৯৫এ, ১২৪ ধারায় কঙ্গনা ও রঙ্গোলির বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। মুন্নাওয়ার্লি সৈয়দ বিশেষভাবে কঙ্গনার সেই টুইটারের উপর জোর দিয়েছেন যেখানে নায়িকা মুম্বইয়ের তুলনা টেনেছেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে। তাঁর দাবি, কঙ্গনার এহেন টুইটারের পিছনে আসল উদ্দেশ্য কী ছিল তা খতিয়ে দেখার দরকার আছে। এর তদন্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
মহারাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে কঙ্গনার চাপানউতোরের মাঝেই আদালতের এই নির্দেশ বেশ তাত্পর্যপূর্ন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত মাসেই কঙ্গনার পালি হিলের অফিসের ভেঙে গুড়িয়ে দেয় বিএমসি। সেই নিয়েও উদ্ধব সরকার ও শিবসেনার সঙ্গে বিতর্কে জড়ান কঙ্গনা।