অভিনেতা সইফ আলি খানের বাড়িতে পাওয়া আঙুলের ছাপের সঙ্গে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত-শরিফুল ইসলাম ফকিরের আঙুলের ছাপ মিলছে না বলে যে প্রতিবেদন সামনে এসেছে, তা নিয়ে এবার মুখ খুলল মুম্বই পুলিশ। রবিবার তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাজ্য ফৌজদারি তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আঙুলের ছাপ ব্যুরো থেকে এখনো কোনো রিপোর্টই দেওয়া হয়নি।
জোন ৯-এর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার দীক্ষিত গেদাম বলেন, ‘আঙুলের ছাপ নিয়ে এখনও বান্দ্রা পুলিশের কাছে রিপোর্ট জমা পড়েনি।’ প্রবীণ আইপিএস অফিসার আঙুলের ছাপের অসামঞ্জস্যের দাবি অস্বীকার করেছেন। রাজ্য সিআইডির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও নিশ্চিত করেছেন যে চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও আসেইনি মুম্বই পুলিশের হাতে।
সইফের বাড়িতে হামলা:
বলিউড অভিনেতা সইফ আলি খানের বাড়িতে ১৬ জানুয়ারি হামলা চালায় এক ব্যক্তি। এরপর ঘটনার দু দিন পর পুলিশ ৩০ বছর বয়সী বাংলাদেশী বাংলাদেশী নাগরিক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ ফকিরকে গ্রেপ্তার করে। জানা যায়, চুরি করার অভিপ্রায় নিয়ে তিনি বলিউড তারকার বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁর কোনো ধারণাই ছিল না সেটি সইফ ও করিনার বাড়ি।
অভিযুক্তের সঙ্গে হাতাহাতির পর গুরুতর আহত হন সইফ আলি খান। এরপর সেদিন ভোররাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর তদন্তের সময় মুম্বই পুলিশ বান্দ্রায় অভিনেতার বাড়িতে অভিযুক্তের বেশ কয়েকটি আঙুলের ছাপ পেয়েছে।
ভোরের দিকে একজন অনুপ্রবেশকারীর দ্বারা আক্রান্ত হন সইফ।, পরে পুলিশ ৩০ বছর বয়সী বাংলাদেশী নাগরিক মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ ফকির হিসাবে চিহ্নিত করে, যিনি চুরি করার অভিপ্রায় নিয়ে তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করেছিলেন। অভিযুক্তদের সঙ্গে হিংসাত্মক সংঘর্ষের পর, সাইফ আলী খান তাঁর বক্ষের মেরুদণ্ড এবং শরীরের অন্যান্য অংশে ছুরিকাঘাতে আহত হন। হামলার পর তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য তাঁকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বাড়ির সিঁড়ি, শৌচাগারের দরজা এবং তাঁর ছেলে জেহের ঘরের দরজার হ্যান্ডেলে অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ পেয়েছে।
অভিনেতার বাড়িতে আসা ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা প্রায় ২০০টি আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করেছেন বলেই জানা যাচ্ছে। বান্দ্রার (পশ্চিম) 'সতগুরু শরণ' বিল্ডিংয়ের ১১ ও ১২তলায় থাকেন সইফ আলি খান ও করিনা কাপুর খান। ১১তলাতেই মূলত প্রবেশ করেছিল অভিযুক্ত। ১১ তলার পাশাপাশি, বেসমেন্টের সিঁড়ি, রেলিং এবং প্যাসেজ এলাকা থেকেও কিছু আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করা হয়েছিল।
অভিযুক্তকে ১৯ জানুয়ারি গ্রেপ্তার করা হয় এবং তিনি বর্তমানে আরও তদন্তের জন্য ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে আছেন।