সইফ আলি খানের উপর হামলা চালিয়েছেন যে ব্যক্তি তাঁকে ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। বান্দ্রা জেলে পেশ করার পর কিছুদিনের জেল কাস্টডি হয়েছে তাঁর। কিন্ত এই সময়ে সেই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে পুলিশ। কী জানাল তাঁরা?
কী জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে সইফ আলি খানের কেস নিয়ে?
জানা গিয়েছে মুম্বইয়ের কালিনার ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির তরফে পুলিশ যে যে জিনিসগুলো বাজেয়াপ্ত করেছে সইফ আলি খানের হামলাকারীর থেকে সেগুলোকে। পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং যাচাই করা হবে। এমনটাই পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। গত রবিবার পুলিশ এই হামলাকারীকে আটক করেছে। জানা গিয়েছে সেই ব্যক্তি আদতে একজন বাংলাদেশি। তাঁর নাম শরিফুল ইসলাম শেহজাদ মহম্মদ রহিলা আমিন ফকির।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত তাঁর থেকে মোবাইল ফোন, জামা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রমাণ হিসেবে আছে সিসিটিভি ফুটেজও। এই সমস্ত জিনিসই ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। সেখানকার একাধিক বিভাগে এগুলোর পরীক্ষা নিরীক্ষা চলবে, যেমন টেপ অথেনটিকেশন, স্পিকার আইডেন্টিফিকেশন, বায়োলজি, DNA, পায়ের ছাপ, ফিজিক্স, সাইবার, ইত্যাদি।
তবে পুলিশের তরফে এদিন একই সঙ্গে জানানো হয়েছে যে তাঁকে যখন থানে থেকে গ্রেফতার করা হয় তখন তাঁর থেকে যে জামা বাজেয়াপ্ত হয়েছে সেখানে কোনও রক্তের দাগ পাওয়া যায়নি। কিন্তু এসব তো সমস্যার বিষয় নয়। সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ভাষা। জানা গিয়েছে এই ফকির নামক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে পুলিশ। সেই ব্যক্তি বাংলাদেশি উচ্চারণে হিন্দি বলছেন! ফলে মুম্বইয়ের পুলিশ তাঁর ভাষা ধরতে পারছে না অনেক সময়ই। তাই সেই ব্যক্তিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে সেই উত্তর দেওয়ার সময় ধীরে ধীরে জবাব দেয়।
আরও পড়ুন: সিরিজের প্রচারের পর এবার মিউজিক ভিডিয়োতে রাজুদা! দেবের কোন গানের অনুকরণে আনছেন 'পকেট পরোটা সং'?
প্রসঙ্গত গত ১৬ জানুয়ারি সইফ আলি খান তাঁর পরিবার নিয়ে বান্দ্রার যে আবাসনে থাকেন সেখানেই এই ব্যক্তি ঢুকে পড়েন। তারপর অভিনেতার মুখোমুখি হতে তাঁকে আক্রমণ করেন সেই ব্যক্তি। ছুরি দিয়ে বারবার আঘাত করতে থাকে। এমনকি তাঁর পিঠে গেঁথে যায় ছুরির একটা টুকরো। অপারেশন করে বার করতে হয় সেটা। যদিও বর্তমানে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন অভিনেতা।