সত্তরের দশকের গোড়ার দিকের কথা। শাম্মি কাপুর এবং মুমতাজের প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে তখন উত্তাল বলিপাড়া। তবে তখন এই বিষয়ে কোনও পক্ষকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে তেমনভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুমতাজ। জানালেন সেই সময়ে কেউ বিশ্বাসই করতে চাননি শাম্মি কাপুরের মতো একজন এত বড় বলি-তারকা তাঁর প্রেমে পড়তে পারেন এবং বিয়ে করারও প্রস্তাব দিতে পারেন।যদিও শাম্মির সেই প্রস্তাবে 'না' বলেছিলেন মুমতাজ। মুমতাজের যুক্তি ছিল সেইসময়ে নীলা দেবীর সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে বাঁধা পড়েছেন শাম্মি। সুতরাং নিজেকে কারও ঘর ভাঙা ব্যক্তি হিসেবে কল্পনা করতে আপত্তি ছিল বলি-সুন্দরীর। অতএব... শেষমেশ ব্যবসায়ী ময়ূর মাধবনীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন তিনি। এরপর অবশ্য সেভাবে শাম্মির সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি মুমতাজ।
তবে শাম্মির মৃত্যুর কয়েক বছর আগে বর্ষীয়ান তারকা স্ত্রী নীলা দেবীর থেকে একটি ফোন কল পেয়ে চমকে উঠেছিলেন মুমতাজ। সঙ্গে অদ্ভুত ভালোলাগায় ভরে উঠেছিল তাঁর মন। নীলা দেবী অত্যন্ত সুচারু এবং আন্তরিকভাবে মুমতাজকে জানিয়েছিলেন সামনেই 'শাম্মিজি'-র ৭৪তম জন্মদিন আসন্ন। সেই উপলক্ষে একটি ছোট্ট পার্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাই সেদিন যদি মুমতাজ আসেন তাহলে তাঁদের বড্ড ভালো লাগবে। আমন্ত্রণ শেষে নীলা দেবী আরও জানান স্বয়ং 'বার্থডে বয়'-ও ভীষণভাবে চাইছেন ঐদিন যেন মুমতাজ আসেন। মুহূর্তে রাজি হয়ে গেছিলেন একসময়কার বলি-সুন্দরী। কথা রেখেছিলেন। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আশা প্যাটেলের সঙ্গে প্রাক্তন প্রেমিকের জন্মদিনে হাজির হয়েছিলেন মুমতাজ। কয়েক বছর আগে ইয়াহু-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথা নিজের এই অভিজ্ঞতার কথা ফাঁস করেছিলেন 'লোফার'-এর নায়িকা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই মুমতাজই এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে শাম্মি সম্পর্কে অকপটভাবে বলেছিলেন, ' বলতে কোনও দ্বিধাই নেই আমাকে শুধু ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয়নি শাম্মি বরং যেভাবে আগলে রাখত তা এককথায় অসাধারণ। এটুকু জোর দিয়ে বলতে পারি শাম্মির থেকে আমি যে ভালোবাসা পেয়েছি তা অন্য কারওর থেকে পাইনি!'