রবিবার ৭৫ বছরে পা রাখলেন প্রবীন অভিনেত্রী মুমতাজ। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর সফল কেরিয়ার। মাত্র ১১ বছর বয়সে ‘সোনে কি চিড়িয়া’ ছবি দিয়ে অভিনয় জগতে ডেবিউ করেন তিনি। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০-এর দশকে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিতেন অভিনেত্রী। রাজেশ খান্না, ধর্মেন্দ্র এবং শশী কাপুর সহ বলিউডের বেশ কয়েকটি নেতৃস্থানীয় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন।
বলিউডে অন্যান্য একাধিক প্রথম স্থানীয় অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করেছেন মুমতাজ। যদিও একবার অভিনেত্রী ফাঁস করেছিলেন, ওয়াহিদা রেহমান ছাড়া অন্য কোনও মহিলার সঙ্গে ভালো বন্ধুত্ব ছিল না তাঁর। মুমতাজ এবং ওয়াহিদা মুঝে জিনে দো (১৯৬৩), পাথথার সনম কা (১৯৬৭), এবং রাম অউর শ্যাম (১৯৬৭)- এর মতো ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন।
২০২১ সালে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুমতাজ বলেছিলেন, ‘আমি আমার সব হিরোদের থেকে সমর্থন পেয়েছিলাম। সম্প্রতি আমি ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে দেখা করেছি। আমরা একসঙ্গে খানিকটা সময় কাটিয়েছি। পুরনো দিনের কথাও মনে করছিলাম।’ একই সঙ্গে তাঁকে কাছের অভিনেত্রীর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, তিনি শুধু ওয়াহিদা রেহমানের নাম নেন।
মুমতাজ বলেন, ‘ওয়াহিদা রেহমান বাদে, যে সমস্ত নায়িকাদের সঙ্গে আমি মেলা-মেশার চেষ্টা করেছি, তাঁরা কেউই আমার সঙ্গে তেমন ভাবে কথা বলেনি। একটা চেয়ার টেনে দূরে গিয়ে বসত তাঁরা। এমনকি হ্যালো টুকুও বলত না। কেন তারা এটা করত আমার ধারণা নেই। তবে আমি খুশি খুশি আমার দলের নৃত্যশিল্পীদের সঙ্গে লাঞ্চ ভাগাভাগি করে খেতাম। আমি নিজের কাজকে উপভোগ করেছি। চুপ থাকিনি। আসলে, আমি কখনও বিরক্তও হইনি।’
১৯৯৭ সালে ‘আয়না’ ছবিতে বড় পর্দায় দেখা মিলেছিল মুমতাজের। এরপর শুধুমাত্র সংসারের মন দিতে লাইমলাইটের জগত থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন অভিনেত্রী। ১৯৭৪ সালে উগান্ডার ব্যবসায়ী ময়ূর মাধবানির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মুমতাজ। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান নাতাশা এবং তানিয়া। মমতাজ ১৩ বছর পরে ‘আঁধিয়ান’ দিয়ে অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, কিন্তু ছবি ফ্লপ হওয়ার পর আর পর্দায় দেখা মেলেনি তাঁর।