সত্তরের দশকের গোড়ার দিকের কথা। শাম্মি কাপুর এবং মুমতাজের প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে তখন উত্তাল বলিপাড়া। তবে তখন এই বিষয়ে কোনও পক্ষকেই সংবাদমাধ্যমের সামনে তেমনভাবে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মুমতাজ। জানালেন সেই সময়ে কেউ বিশ্বাসই করতে চাননি শাম্মি কাপুরের মতো একজন এত বড় বলি-তারকা তাঁর প্রেমে পড়তে পারেন এবং বিয়ে করারও প্রস্তাব দিতে পারেন।যদিও শাম্মির সেই প্রস্তাবে 'না' বলেছিলেন মুমতাজ। শেষমেশ ব্যবসায়ী ময়ূর মাধবনীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন তিনি।
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী মুমতাজ আরও জানান যে সেই সময় টিনসেল টাউনের বহু মানুষের কানে এই খবর পৌঁছেছিল যে তিনি শাম্মির দেওয়া বিয়ের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন। যদিও সেই খবর শুনে অবিশ্বাসে তাঁদের ভুরু কুঁচকেছিল। কারণএকে ওরকম বিরাট মাপের তারকা ছিলেন শাম্মি তার ওপর অর্থনৈতিক দিক থেকেও ভীষণভাবে স্বচ্ছল। মুমতাজের কথায়, 'আমার পরিচিতদের থেকে শুরু করে বলতে গেলে গোটা পৃথিবী তখন একবাক্যে চাইছে শাম্মির সঙ্গে আমার বিয়েটা হোক। কিন্তু জীবনটা যেহেতু আমার তাই আমারই একমাত্র সম্পূর্ণ অধিকার ছিল এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। যদিও বলতে কোনও দ্বিধাই নেই আমাকে শুধু ভালোবাসায় ভরিয়ে দেয়নি শাম্মি বরং যেভাবে আগলে রাখত তা এককথায় অসাধারণ। এটুকু জোর দিয়ে বলতে পারি শাম্মির থেকে আমি যে ভালোবাসা পেয়েছি তা অন্য কারওর থেকে পাইনি!'
বক্তব্যের শেষে 'হরে রামা হরে কৃষ্ণা' ছবির নায়িকার সংযোজন, 'সেই সময়ে আর্থিক দিক থেকেও অত্যন্ত উচ্চবিত্ত ছিলেন শাম্মি। তাই আমার চারপাশের মানুষদের মাথাতেই ঢুকছিল না কী করে শাম্মি কাপুরের মত একজন মানুষকে বিয়ে না করে থাকতে পারি? তাই অনেকেই পুরো ব্যাপারটাকে মিথ্যা বলেও উড়িয়ে দিয়েছিল। তবে আজ যখন মানুষ দেখে জীবন সায়াহ্নে এসে আমি দিব্যি আছি, আরামে আছি এবং ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমার স্বামীর অর্থনৈতিক অবস্থায় মন্দ নয় তখন সেই সময়ে যে শাম্মির সঙ্গে আমার বিয়ের ব্যাপারে আমি মিথ্যা বলিনি, তা হয়ত বুঝতে পারে'।