৬০ ও ৭০ দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের অন্যতম ছিলেন মুমতাজ। রবিবার ৭৫ বছরে পা রেখেছেন অভিনেত্রী। তাঁকে নিজের যুগের সুপারহিট অভিনেত্রীদের মধ্যে গণ্য করা হয়। হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর সফল কেরিয়ার। মাত্র ১১ বছর বয়সে ‘সোনে কি চিড়িয়া’ ছবি দিয়ে অভিনয় জগতে ডেবিউ করেন।
৭৫-এর জন্মদিনে মেয়ে তানিয়া মাধবানীর ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল থেকে লাইভে এসেছিলেন মুমতাজ। প্রবীন অভিনেত্রী বলেন, তিনি এখনও একটি ছবিতে নাচতে পারেন। পাশাপাশি যোগ করেছেন যে তিনি 'জ্যাকি শ্রফের ছেলের মতো উড়তে পারবেন না'।
আরও পড়ুন: ‘হ্যালো টুকুও বলত না’, ইন্ডাস্ট্রিতে শুধু ওয়াহিদা রেহমানই বান্ধবী ছিলেন মুমতাজের
মুমতাজের মেয়ে তানিয়ার কাছেও প্রশ্ন ছিল মায়ের জন্য। তানিয়া জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি এখনও কোনও ছবিতে নাচবেন কিনা? তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর মা এখনও একজন দুর্দান্ত নৃত্যশিল্পী। প্রবীন অভিনেত্রী উত্তরে বলেন, ‘আমি নাচতে পারি, কিন্তু আমি জ্যাকি শ্রফের ছেলে (টাইগার শ্রফ) এবং সবার মতো উড়তে পারব না।’ তাঁর প্রিয় অভিনেত্রীর নাম আলিয়া ভাট বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, আলিয়া দেখতে সুন্দর এবং একজন ভালো নৃত্যশিল্পীও।
অন্য একজন ভক্ত জিজ্ঞাসা করেছিলেন কেন মুমতাজ শাম্মী কাপুরকে বিয়ে করেননি! প্রবীন অভিনেত্রী বলেন, ‘কেন আমি তাকে বিয়ে করিনি জানো? আবার শুনতে চাও আমার থেকে? তিনি চেয়েছিলেন আমি আমার কেরিয়ার ছেড়ে দিই। সেই সময় আমার বয়স ছিল মাত্র ১৭।’
অভিনেতা শাম্মী কাপুর এবং মুমতাজের বিখ্যাত গান ‘আজকাল তেরে মেরে পেয়ার কে চর্চে’ এখনও মানুষের মুখে মুখে। তাঁদের দু’জনের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি সেই সময়ে দর্শকদের মন জয় করেছিল। এই গানটি ছিল বলিউডের হিট ছবি ‘ব্রহ্মচারী’-এর। ব্রহ্মচারী ছিল প্রথম এবং একমাত্র ছবি যেখানে শাম্মী-মুমতাজ একসঙ্গে কাজ করেছিলেন।
১৯৬০ থেকে ১৯৭০-এর দশকে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক নিতেন মুমতাজ। রাজেশ খান্না, ধর্মেন্দ্র এবং শশী কাপুর সহ বলিউডের বেশ কয়েকটি নেতৃস্থানীয় অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। শুধু দর্শকদেরই নয়, ইন্ডাস্ট্রির অনেক বড় বড় তারকারাও অভিনেত্রীর সৌন্দর্যে অভিভূত ছিলেন।
১৯৭৪ সালে উগান্ডার ব্যবসায়ী ময়ূর মাধবানির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মুমতাজ। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান নাতাশা এবং তানিয়া। মুমতাজ ১৩ বছর পরে ‘আঁধিয়ান’ দিয়ে অভিনয়ে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন, কিন্তু ছবি ফ্লপ হওয়ার পর আর পর্দায় দেখা মেলেনি তাঁর।