স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকী সম্প্রতি তাঁর ছেলের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে মুখ খুললেন। মুনাওয়ার জানিয়েছেন যে, তাঁর ছেলের যখন মাত্র দেড় বছর বয়স তখন সে কাওয়াসাকি নামক একটি বিরল রোগে আক্রান্ত হয়। এই রোগের চিকিৎসায় খরচও হয় ব্যপক। কীভাবে তিনি তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য অর্থের ব্যবস্থা করেছিলেন এবার সেই প্রসঙ্গে কথা বললেন মুনাওয়ার।
তিনি ইটাইমসের একটি পডকাস্টে বলেন ‘এই পরিস্থিতিতে আমি সত্যি ভয় পেয়েছিলাম। আমার ছেলের বয়স তখন দেড় বছর। সে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ২-৩ দিন ধরে তাঁর অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। তাঁকে আমরা তারপর হাসপাতালেও নিয়ে যাই, আমরা জানতে পারি যে ও কাওয়াসাকি নামে একটা বিরল রোগ হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নবদম্পতির 'লাভ গুরু' শাহরুখ খান! চুপিচুপি কী পরামর্শ দিলেন বাদশা? জানলে বদলে যাবে আপনার লাভ লাইফ
পডকাস্টে মুনাওয়ার জানান যে, কীভাবে তিনি তাঁর ছেলের চিকিৎসার জন্য অর্থের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খেয়েছিলেন। তিনি জানান এই চিকিৎসা খুবই ব্যয় বহুল। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমার ৭৫,০০০ টাকার প্রয়োজন ছিল কিন্তু তখন আমার মানিব্যাগে তখন মাত্র ৭০০-৮০০ টাকা ছিল।’ সেই সময় খুব কষ্ট করে সেই টাকা জোগাড় করেছিলেন তিনি।
এখন মনে প্রশ্ন আসতে পারে কাওয়াসাকি কী ধরনের রোগ?
কাওয়াসাকি একটি বিরল রোগ। এটি প্রধানত পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে দেখা দেয়। এই রোগের ফলে হৃৎপিণ্ডে রক্ত সরবরাহকারী করোনারি ধমনী -সহ সারা শরীর জুড়ে মাঝারি আকারের ধমনীর দেয়ালে প্রদাহ হয়। এটি একটি অতিরঞ্জিত ইমিউন প্রতিক্রিয়া থেকে উদ্ভূত হয় যা জিনগতভাবে প্রবণতাযুক্ত ব্যক্তিদের সংক্রমণ দ্বারা উদ্দীপিত হয়। তবে এটি সংক্রামক নয়। কিন্তু গুরুতর জটিলতা প্রতিরোধ করার জন্য জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আধা-অনাথ’, 'ইন্ড্রাস্টিতে বহিরাগত ’ নিজেকে নিয়ে কেন এমন মন্তব্য করলেন বাদশা শাহরুখ খান?
কাওয়াসাকি রোগের লক্ষণগুলি সাধারণত পর্যায়ক্রমে বিকাশ লাভ করে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রচন্ড জ্বর আসে যা পাঁচ দিনের বেশি স্থায়ী হয়, এর সঙ্গে চোখে লাল ভাব, ফুসকুড়ি, ফোলা লিম্ফ নোড, ফাটা ঠোঁট এবং একটি লাল, ফোলা জীব। হাত ও পায়ে ফোলাভাব এবং লালভাব। দ্বিতীয় পর্যায়ে, উপসর্গগুলির মধ্যে হাত ও পায়ের ত্বকের ছাল ওঠে এবং জয়েন্টে ব্যথা হয়। যদি এই রোগের চিকিৎসা না করা হয়, তবে এই অবস্থা দীর্ঘমেয়াদী জটিলতার কারণ হতে পারে যেমন করোনারি ধমনী অ্যানিউরিজম, হার্টের প্রদাহ বা হার্টের ভালভের ক্ষতি।