পদ্মবিভূষণ প্রাপ্ত ওস্তাদ আমজাদ আলি খান গত বুধবার লখনউ-এর সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেছিলেন। এই অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করার পর সঙ্গীত নিয়ে কিছু মন্তব্য রাখেন তিনি।
আমজাদ আলি খান বলেন, ‘সঙ্গীত ঐক্য এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সৃষ্টি করতে পারে। জানলে অবাক হয়ে যাবেন, ভারত এবং পাকিস্তানের মানুষকেও এক করতে পারে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতকে এককথায় বলা হয় হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত।’
(আরও পড়ুন: ‘আমিও মা! এখনও যেন বিষয়টা ঠিক বুঝেই উঠতে পারি না’, মাতৃত্ব নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন ইয়ামি গৌতম)
গায়ক আরও বলেন, ‘একটি গান মানুষের সমস্ত রোগ সারিয়ে দিতে পারে। তিহার জেলে বন্দীদের রাতে অথবা ভোরে গান শোনানো হতো। মানসিক এবং শারীরিকভাবে তাঁরা সুস্থ থাকতে পারেন, তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হতো। তবে অবশ্যই সঙ্গীতকে গ্রহণ করার জন্য যোগ্য শ্রোতা হওয়া প্রয়োজন।’
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সঙ্গীতের অবদান কতখানি তা বোঝাতে তিনি বলেন, ‘আমি যে সরোদটি বাজাই, সেটি তৈরি করেছেন হেমেন্দ্র চন্দ্র। হেমেন্দ্র বাবু যদি এত নিখুঁত সরোদ তৈরি না করতে পারতেন, তাহলে হয়তো আমার এত সুন্দর গান গাওয়া হত না। আমি যে তবলা বাদকের সঙ্গে পারফর্ম করি, সেই পন্ডিত কিষাণ মহারাজ আমার বড় দাদার মতো। এইভাবেই সঙ্গীতের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তৈরি হয়।’
(আরও পড়ুন: পর্দায় যেন ভূতেদের ছড়াছড়ি! ৩ যুগের ৩ 'পেত্নী'কে নিয়ে আসছে 'ভূত্তেরিকি')
লখনউ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘১৫ বছর আগে লখনউ শহরে শেষ পারফর্ম করেছিলাম আমি। আমার পিতামাহ ওয়াজিদ আলি শাহের দরবারে সরোদ বাদক ছিলেন। নবাবি আমলের পতনের কয়েক বছর পর আমাদের গোটা পরিবারের চলে আসে গোয়ালিয়র।’
‘১৫ বছর পর যখন লখনউ এলাম, তখন দেখলাম অনেক কিছুই পরিবর্তন হয়ে গেছে। ঠাকুরগঞ্জে বেগম আখতারের মাজার পরিদর্শন করতে গিয়ে মনে হলো, রাস্তাঘাটের উন্নতি প্রয়োজন। এটি শুধুমাত্র ভারতের মানুষের জন্য নয়, বিদেশ থেকে যাঁরা বেগম আখতারকে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন, তাঁদের জন্যেও ভীষণ প্রয়োজন।’