সঙ্গীতশিল্পী প্রীতম চক্রবর্তীর স্টুডিয়োতে বড়সর চুরি। নগদ ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেল সঙ্গীতশিল্পী তথা গায়ক প্রীতম চক্রবর্তীর স্টুডিওতে কর্মরত বছর ৩২-এর অফিস অ্যাসিস্ট্যান্ট। ঘটনায় মালাড খানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রীতমের ম্যানেজার। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে মালাড পুলিশ। জানা যাচ্ছে ওই যুবকের নাম আশিস সায়াল।
জানা যাচ্ছে, একটি কাজের জন্য প্রযোজনা সংস্থার তরফে ওই ৪০ লক্ষ টাকা অগ্রিম হিসাবে প্রীতমের স্টুডিয়োকে দিয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটে ৪ ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে। সেসময় মধু মন্টেনার অফিস থেকে প্রোডাকশন হাউসের এক কর্মচারী গোরেগাঁওয়ে প্রীতম চক্রবর্তীর মিউজিক স্টুডিও 'ইউনিমিউজ রেকর্ডস প্রাইভেট লিমিটেড'-এ যান। তিনি প্রীতমের ম্যানেজার বিনীত ছেডাকে ৪০ লক্ষ টাকা নগদ সহ একটা ব্যাগ দেন। সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওই স্টুডিয়োর কর্মী আশিস সায়াল, আহমেদ খান এবং কমল দিশা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গোরেগাঁও-মুলুন্দ লিঙ্ক রোডের রুস্তমজি ওজোন বিল্ডিংয়ে রয়েছে জাতীয় পুরস্কারজয়ী সুরকার প্রীতমের ইউনিমিউজ রেকর্ডস প্রাইভেট লিমিটেড-এর অফিস। জানা যাচ্ছে, টাকা দেওয়ার পর প্রীতমের ম্যানেজার বিনীত ছেডা (২৯) নগদ টাকা গুনে একটি ট্রলি ব্যাগে ভরে রাখেন। চুরি যাওয়া ব্যাগে ৫০০ টাকার ৮ হাজার নোট ছিল বলে জানা গিয়েছে। টাকা রেখে প্রীতমের বাড়িতে যান কিছু কাগজপত্রে তাঁকে সই করানোর জন্য। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফিরে এসে দেখেন ব্যাগটি নেই।
বিনীত ছেডা এবিষয়ে আহমেদ খানকে জিগ্গেস করলে তিনি জানান, আশিস সায়াল টাকার ব্যাগটি নিয়ে গিয়েছিলেন, তিনি বলেছিলেন, সেই ব্য়াগ তিনি প্রীতমের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন। এরপর আশীস আর প্রীতমের বাড়িতে যাননি, এমনকি স্টুডিয়োতেও ফিরে আসেননি। এমনকি তাঁকে ফোনেও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ।
যদিও ঘটনার পর প্রীতম তাঁর কর্মীদের কিছু সময় অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছিলেন, কারণ, আশীস নামে ওই যুবক তাঁর স্টুডিয়োতে গত ৭ বছর ধরে কাজ করছেন। তবে বেশ কয়েকদিন আশীসের কোনও খোঁজ না মিললে, সঙ্গীতশিল্পীর ম্যানেজার পুলিশের দ্বারস্থ হন।
পুলিশ ইতিমদ্যেই আশিস সায়ালের আত্মীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছে এবং তাঁর মোবাইল ফোনের রেকর্ড খতিয়ে দেখে তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন যে তাঁরা সন্দেহভাজন ব্যক্তি সম্প্রতি কোনও জায়গা থেকে টাকা ধার করেছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাহলে এই চুরির পিছনের উদ্দেশ্য খুঁজতে সাহায্য করবে।
এই ঘটনায় মালাড পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩৮১ ধারায় (কর্মচারী, চাকরদের তাঁদের নিয়োগকর্তার সম্পত্তি চুরি) এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করেছে। সেসময় স্টুডিওতে উপস্থিত অন্যান্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।