শোনা যাচ্ছে উমার আগমনী বার্তা । শহরের প্রাণকেন্দ্র থেকে জেলা , করোনা অতিমারীতে জেরবার আপামর বাঙালি আবার মেতে উঠতে চলেছে শারদোৎসবের আমেজে । উত্সব উদযাপনের হিল্লোলেও করোনা কাঁটা অব্যাহত থাকায় সরকারের তরফে জারি রয়েছে কিছু বিধি - নিষেধাজ্ঞা । তবে শনিবার মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস বাণীতে এক কথায় যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছেন সারা বাংলার শিল্পীমহল।
করোনার জেরে দীর্ঘদিন কাজ বন্ধ থাকায় চরম আর্থিক সংকটে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি । পুজোতেও কোনও জলসা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না, যা সঙ্গীতশিল্পীদের আয়ের বড় মাধ্যম। কাজেই শেষ আশা সম্বল করে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন লোপামুদ্রা, ইমন, জয় সরকাররা । আর তাতেই হলো কাজ । দুর্গাপুজোর আগেই এবার বড়সড় খুশির খবর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সর্বোচ্চ ৫০ জন দর্শকের উপস্থিতিতে ১লা অক্টোবর থেকে আয়োজন করা যাবে অনুষ্ঠান বা থিয়েটার। খোলা যাবে সিনেমা হলও।
লোপা মুদ্রা সঙ্গীতজগতের সব মানুষের হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছিলেন , উনি যেন পুজোর সময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ না করেন।করোনা সংক্রান্ত বিধি-নিয়ম মেনেই অনুষ্ঠান করবার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। শিল্পীর ফেসবুক পোস্ট রীতিমতো ভাইরাল হয়।
লোপার সুরেই সুর মিলিয়েছিলেন গায়ক মনোময় ভট্টাচার্য, ইমন চক্রবর্তীরাও।শিল্পী মহলের প্রতি দিদির স্নেহের কথা সকলেরই বিদিত । অধিকাংশ শিল্পীরই বক্তব্য ছিল গানবাজনার মানুষের পুজোর অনুষ্ঠান দিয়েই কাজের সময় শুরু হয়। এই রোজগারেই শিল্পীরা সারা বছর চালান । এটা বন্ধ করলে করোনার সময় তো আরও বিপদ বাড়বে ।
শিল্পীমহলের ডাকে সাড়া দিয়ে শনিবার টুইটারে মমতা ঘোষণা করেন - সব কিছুই যখন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এবার যাত্রা, নাটক, খোলা মঞ্চে থিয়েটার, সিনেমা, সঙ্গীত অনুষ্ঠান, নৃত্যানুষ্ঠান, আবৃত্তি বা ম্যাজিক শো— সব কিছুই এবার চালু হতে পারে।
স্বভাবতই এই ঘোষণায় উচ্ছসিত বাংলার সঙ্গীত জগৎ । আপাতত দিদিকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা হারিয়েছেন তাঁরা ।
উমার আগমনের আগে মমতার মমতায় হাজার হাজার শিল্পীর পরিবারের মুখে হাসি ফুটল। তাই দিদির কাছে কৃতজ্ঞ তাঁরা সকলেই।