২০১২ সালে সইফ আলি খানের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন করিনা কাপুর। বিবাহোত্তর জীবনের প্রায় নয় বছর পরেও সংসার সামলানোর পাশাপাশি চুটিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এই বলি-নায়িকা। বিয়ের ঠিক আগে কোরিনাকেও শুনতে হয়েছিল যে এখনই যদি তিনি বিয়ে সেরে ফেলেন তাহলে আর কোনও ছবিতে নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব পাবেন না। তবে বাস্তব আর 'ভবিষ্যৎবাণী'-র মধ্যে যে বিস্তর ফারাক তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন করিনা।
২০১২-তে অর্থাৎ যে সালে তাঁর বিয়ে হয়েছিল সেই বছরেই 'এজেন্ট বিনোদ', 'হিরোইন','তালাশ' এর মতো তিন তিনটে ছবির নায়িকা হিসেবে দর্শকদের সামনে হাজির হয়েছিলেন তিনি। বিয়ের পরপর সলমন খান অভিনীত 'দাবাং ২'-তেও একটি আইটেম নম্বরেও দেখা গেছিল তাঁকে। এর পরের বছরগুলোতে 'সিংঘম রিটার্নস', 'বজরঙ্গি ভাইজান','উড়তা পঞ্জাব','গুড নিউজ' প্রভৃতি বিগ বাজেট ও সুপারহিট ছবির নায়িকা হিসেবে পর্দায় হাজির হয়েছিলেন তিনি। চলতি বছরেও মুক্তি পাবে আমিরের সঙ্গে তাঁর অভিনীত ছবি 'লাল সিং চাড্ডা'।
২০১৮ সালে 'মিড ডে' পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে করিনা জানিয়েছিলেন কীভাবে তিনি ব্যক্তিগত জীবন এবং পেশার মধ্যে সমতা বজায় রেখে চলেন। তাঁর কথায়, ' পরিবার, স্বামী এবং সন্তান আমার কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। অভিনয় করতে যতটা ভালোবাসি ততটাই পছন্দের মা হিসেবে নিজের দায়িত্বগুলো পালন করাও। আমাকে তো এও শুনতে হয়েছিল যে বিয়ের পর আর কাজ পাবো না। অথচ বাস্তবটা কী, তা সবাই জানেন। হ্যাঁ, অল্প ছবিতে কাজ করেছি বিয়ের পর। তা সেটা যদি আমার 'ভুল' হয়ে থাকে তো থাকুক। তাতে আমার মোটেই কিছু যায় আসে না।' সানায় থেমে নায়িকার সংযোজন,' আমার স্বামী তো আর পাঁচজনের মতো ব্যবসায়ী কিংবা চাকুরীজীবি নন যে প্রতিদিন কাজকম্মো সেরে সন্ধ্যে ৬টায় বাড়ি ঢুকবে। সেও তো আমারই মতো একজন অভিনেতা। তাই দু'জন মিলেই পালা করে সময় বেড়ে করে আমাদের সন্তানকে সময় দিয়ে থাকি। সেইজন্যই পরস্পর আলোচনা করে ঠিক করেছি একইসময়ে একটি ছবিতেই অভিনয় করব। এর বেশি নয়।'
প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই সইফ ও করিনা তাঁদের দ্বিতীয় সন্তানকে পরিবারে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে গত বছর গর্ভাবস্থাতেও নিজের বাকি থাকা শুটিংয়ের কাজ শেষ করেছেন করিনা। তার মধ্যে রয়েছে আমিরের 'লাল সিং চাড্ডা'-ও। ভবিষ্যতেও যে 'লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন'-এর দুনিয়া থেকে দূরে থাকবেন না সেকথাও দৃঢ় গলায় জানিয়েছিলেন তিনি। আদতে 'ওয়ার্কিং মাদার' ব্যাপারটাই বড্ড পছন্দের 'বেবো'-র।