বর্ষার জেরে আকাশের মুখ ভার, তবে পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা উৎসব মুখর বাঙালি। সেলেব হোক বা আম বাঙালি ছবিটা সর্বত্রই এক। কিন্তু অন্য বারের চেয়ে একদম আলাদা নবনীতার পুজো। সবকিছু আর আগের মতো নেই। সদ্য বিয়ে ভেঙেছে। চার বছরের দাম্পত্যে জীবনে ইতি টেনেছেন একটা কাগজে সই করে। কিন্তু মনের বন্ধন কি এত সহজে ছিন্ন করা যায়?
ভালোবেসে জিতুকে বিয়ে করেছিলেন নবনীতা। বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন খোদ নায়িকা। কিন্তু চার বছর যেতে না যেতেই দূরত্ব তৈরি হয় দুজনের। ডিভোর্সের ঘটনা নিয়ে এক্কেবারে চুপ জিতু। অথচ আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতে যেন একটু বেশিই সক্রিয় তিনি। অন্যদিকে নবনীতাও প্রতিদিনই নিত্য-নতুন ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করে থাকেন। তবে এবার খোলাখুলি ভাবেই নিজের মনের কথা জানালেন ‘বিয়ের ফুল’ নায়িকা। বুঝিয়ে দিলেন আজও তাঁর জীবনের গল্প থেকে বাদ পড়েননি জিতু বা তাঁর পরিবার।
এদিন নবনীতা ইনস্টাগ্রামে তাঁর 'প্রাক্তন' স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে দুটি ছবি পোস্ট করেন। পুজোর আবহে তোলা সেই দুই ছবি। প্রেক্ষাপটের আলোকসজ্জা, পুজো মণ্ডপ সেই কথাই জানান দিচ্ছে। সাবেকি সাজে হাসিমুখে নবনীতা। সেলফিতে লেন্সবন্দি গোটা পরিবার। নবনীতা লিখলেন- 'এই বছর তোমাদের ছাড়াই পুজো কাটাতে হবে'।
এর আগে আনন্দবাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও পুজো পরিকল্পনার কথা বলতে গিয়ে আফসোস জাহির করেছিলেন নবনীতা। জানিয়েছিলেন- ‘এবছরের দুর্গাপুজো অবশ্যই আগের বছরের পুজোগুলির থেকে আলাদা। প্রত্যেকবার সিঁদুর খেলতাম, অঞ্জলি দিতাম, এবার আর সেসব হবে না। এবছর তাই ভেবেছিলাম ঘুরতে চলে যাব। একমাসের ভিসা আছে, তাই ভেবেছিলাম লন্ডন যাব। তবে এক সপ্তাহের বেশি ছুটি পাব না, তাই হয়ত বিদেশে যাওয়া হবে না। তবে অষ্টমী থেকে যদি ছুটি পাই, তাহলে দেশেই কোথাও ঘুরে আসব।’
নবনীতা ও জিতুর বন্ধু সার্কেলও এক। তাই পুজোয় বন্ধুদের সঙ্গেও কোনও প্ল্যান করতে রাজি নন নায়িকা। প্রাক্তনের মুখোমুখি হতে চান না? নাকি… । এদিকে টলিপাড়ায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, জিতুর 'বাচ্চা বউ' নতুন প্রেমে পড়েছেন, আর সেটাই তাঁর বিয়ে ভাঙার মূল কারণ। ব্যবসায়ী স্নেহাল অধিকারীর সঙ্গে নবনীতার প্রেমের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি স্নেহালের সঙ্গে নবনীতা গোয়াও ঘুরে এসেছেন বলে খবর। সেসময় প্রায়দিনই একই হোটেলের একই ব্যালকনি থেকে ছবি শেয়ার করেন নবনীতা ও স্নেহাল। তাই সহজেই দুইয়ে দুইয়ে চার করে ফেলে নেটপাড়া। স্নেহাল তাঁর ‘নতুন বন্ধু' একথা মেনে নিয়েছেন নবনীতাও। তবে প্রেমের কথা মানতে নারাজ তিনি। তাঁর কথায়, তাঁদের নিয়ে কেন এমন চর্চা হচ্ছে, তা ঠিক বুঝতে পারছেন না।