ঝগড়া, মনোমালিন্য, ভুল বোঝাবুঝি তো থাকেই! কিন্তু পুরনো সম্পর্কের রেশ ছেড়ে বেরনো খুব একটা সহজ নয়। অতীতকে ভুলে নতুন শুরু করাতেও যুদ্ধ থাকে নিজের সঙ্গে। যেকথা বারবার প্রমাণ করছেন অভিনেত্রী নবনীতা দাস। মুখে জিতু কমলের সঙ্গে বিচ্ছেদের কথা বললেও, স্মৃতি হাতড়ে বারবার চলে যাচ্ছেন অতীতে। বিশেষ করে এই পুজোর কটাদিন।
আরও পড়ুন: ‘আমার হাতের সার্ভিস…!’, মলদ্বীপে হট লুকে নুসরত, দুষ্টু মন্তব্য যশের
দুর্গা পুজো শুরুর ঠিক 'প্রাক্তন' স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে দুটি ছবি পোস্ট করেন। সাবেকি সাজে হাসিমুখে নবনীতা। সেলফিতে লেন্সবন্দি গোটা পরিবার। নবনীতা লিখেছিলেন- 'এই বছর তোমাদের ছাড়াই পুজো কাটাতে হবে'। এরপর একেবারে চুপ হয়ে গিয়েছিল। পুজোতে কোনও ছবিই দেননি সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর দশমীতে জিতুর স্কুটারে চড়ে পুজোর সময় মধ্যরাতে কলকাতা শহরে ঘোরার একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন। ক্যাপশনে লেখেন, ‘গত বছর’। আর এবার বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতেও এলেন সধবার বেশে।
পরে আছেন বেগুনি রঙের একটি শাড়ি। সিঁথিতে সিঁদুর। কপালে লাল টিপ। এক অনুরাগী মন্তব্য করলেন, ‘কী যে সুন্দর লাগছে তোমাকে সিঁদুর পরে।’ আরেকজন লিখলেন, ‘মিষ্টি লাগছে। জিতুর সঙ্গে সব ঠিক হয়ে গেল বুঝি।’
আরও পড়ুন: ‘মা-বাবা তোমায় খুব মিস করবে!’, পুজো মিটতেই সন্তানশোকে ‘রান্নাঘর’-এর সুদীপা
যদিও অভিনেত্রী নিজেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দশমীর দিন মা-কে বরণ করেননি, খেলেননি সিঁদুরও। টুকটাক পুজো পরিক্রমার কাজ ছাড়া পা রাখেননি বাড়ির বাইরেই। জানিয়েছেন, নিজের জীবনটা আপাদমস্তক পালটে ফেলেছেন। আগের কোনও চিহ্নই রাখতে চান না নিজের কাছে। পুরোনো পোশাক থেকে ফোন সবই এখন তাঁর জীবনে অপ্রাসঙ্গিক। বলেন, ‘ওখান থেকে ফেরার পর থেকে আগের কিছুই ব্যবহার করি না আর।’
তবে সব আর ছাড়তে পারছেন কই। বিজয়ায় সিঁদুরে সাজা ছবি দিতেই তাঁর মন কেমনের খবর পৌঁছে গেল।
জিতুও অবশ্য জানিয়েছিলেন এবারের পুজোও অন্যান্যবারের মতোই কাটাবেন। অভিনেতার কথায়, ‘ছোটবেলা থেকে যেমন পুজো কাটাতাম এবারও তাই করব। মণ্ডপে মণ্ডপে কখনোই ঘুরতাম না। সোদপুরে আমার যে পাড়া সেখানেই পুজোর চারটে দিন কাটাই আমি। এখন তো সবাই শহরের বাইরে। তবে পুজোর সময় এক জায়গায় হয় সকলে। গল্প করি আর খাওয়াদাওয়া করি। ফুচকা, বিরিয়ানি-- সব চলে পুজোতে।’