ডিভোর্সের খবর প্রকাশ্যে এনেছিলেন নিজেই, তারপর থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নবনীতা দাস। জিতু কমলের সঙ্গে তাঁর চার বছরের সাজানো সংসার ভেঙে চুরমার। আইনি পথে আলাদা হয়েছেন দুজনে। ডিভোর্সের ঘটনা নিয়ে এক্কেবারে চুপ জিতু। অথচ আজকাল সোশ্যাল মিডিয়াতে যেন একটু বেশিই সক্রিয় তিনি।
কখনও রিল ভিডিয়ো বানাচ্ছেন, কখনও ফটোশ্যুটে মজে। যেন সম্পর্ক ভাঙার ব্যাপারটিকে পাত্তাই দিতে চান না। ওদিকে নবনীতা নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন এমন জল্পনাও তুঙ্গে। ডিভোর্সের কথা ভুলে জিতুর নিজের জগতে মগ্ন থাকা নিয়ে যেমন ধেয়ে আসছে কটাক্ষের বাণ, তেমনই নবনীতার পরকীয়া চর্চাও রয়েছে তুঙ্গে। জল্পনা স্নেহাল অধিকারীর সঙ্গে প্রেম করছেন জিতুর একসময়ের ‘বাচ্চা বউ’। ‘আমি আমার মতো’ এটাই জীবনের মূলমন্ত্র নবনীতার। রিল ভিডিয়ো বা ছবি পোস্ট করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া করেন না নবনীতা।
এই মুহূর্তে ‘বিয়ের ফুল’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন নবনীতা। কলির চরিত্রে মন জয় করছেন সকলের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া নিয়ে কেন চুপ নবনীতা? তাঁর জবাব, ‘কেউ ভালো জিনিস নিয়ে কথা বলছে তখন খুশি হলাম, আবার কেউ খারাপ বললে মন খারাপ এটা ঠিক নয়। কারুর সোশ্যাল মিডিয়া কমেন্ট আদালতের রায় নয়, কেউ নিজের মনের ভাবনা জানিয়েছে এইটুকুই। আমি সেইরকমভাবেই নিই কথাগুলো’।
অকারণে দোষারোপ মেনে নিতে পারে নবনীতা? টলি ফোকাস কলতাকাতে অভিনেত্রী বলেন,'নিজের পক্ষে সম্ভব হলে স্পষ্ট করি, কিন্তু যখন মনে হয় কাকে কৈফিয়ত দিচ্ছি! কেন দিচ্ছি তাহলে আমি কৈফিয়ত দিতেও আর বাধ্য থাকি না। আমার কাছে যদি প্রশ্নগুলো মাথাচাড়া দেয় তখন আমি নিশ্চয় নিজের দিক থেকে অবস্থান স্পষ্ট করি। সোশ্যাল মিডিয়া কোনও বটন নয়, এটা বিজনেসের মাধ্যম। আশেপাশের মানুষগুলো কথাবার্তা আলোচনা করার জন্য একটা মাধ্যম'।
‘অর্ধাঙ্গিনী’র সেটে শুরু প্রেমকাহানি কাঙ্খিত পরিণতি পেয়েছিল ২০১৯ সালের মে মাসে। তবে চার বছরের ব্যাবধানে ঘর ভাঙল জিতু-নবনীতার। গত ছয় মাস যাবত এক ছাদের তলায় থাকেন না তাঁরা, মিউচুয়াল ডিভোর্সের পথে হেঁটেছেন দুজনে। স্নেহালের সঙ্গে বন্ধুত্বের কথা মেনে নিয়েছেন নবনীতা, তবে তাঁর সঙ্গে প্রেমের গুজব রটায় ভারী বিরক্ত অভিনেত্রী।
পুরোনো দিনের স্মৃতি এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি নবনীতা। জিতু-হীন এই পুজোয় কলকাতায় থাকতে আগ্রহী নন অভিনেত্রী। শহরের বাইরেই পুজোর ছুটিয়ে জিইয়ে নিতে চান। স্নেহালও কি সঙ্গে যাবেন? প্রশ্ন নিন্দকদের।