বৃহস্পতিবার বিকালে আলিপুরে সৌজন্য ভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলার কিছু বুদ্ধিজীবীরা। তাতে ছিলেন দোলা সেন, নচিকেতা, অরূপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন, অভিক মজুমদার, কবীর সুমন, হরনাথ চক্রবর্তী, ফিরহাদ হাকিমের মতো ব্যক্তিত্বরা। যদিও এদিন কোনও রাজনৈতিক কথাবার্তা হয়নি। সম্পূর্ণ সাংস্কৃতিক আলোচনা চলে দীর্ঘক্ষণ। লোকসভা ভোটের আগে ‘দেশ বাঁচাও গণ মঞ্চ’ বা সুশীল সমাজ যেভাবে পশ্চিমবঙ্গের শাসকদলের পাশে ছিল, তার জন্য ধন্যবাদ জানাতেই এই সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে বিরাট-রোহিতদের জন্য জনপ্লাবন! মন ছুঁয়ে যাওয়া বার্তা শাহরুখ-সৃজিতের
এদিন প্রথমে গান করেন নচিকেতা। এরপর কবীর সুমন শোনান একটি রবীন্দ্রসংগীত। অন্য দিকে, আটের দশকে কবীর সুমন, ইন্দ্রনীল সেনকে দিয়ে একটি গান গাইয়েছিলেন। সেটি তিনি গেয়ে শোনান তারপর। সব শেষে মমতাকে গান শোনান প্রতুল মুখোপাধ্যায়। শাহির লুধিয়ানভির একটা শায়েরির বাংলা অনুবাদ নিতে সুর দিতে মমতার সামনে গাইতে দেখা গেল প্রতুলকে। গানের এই আসর বড়ই মনে ধরেছে মুখ্যমন্ত্রীর। খুব উপভোগ করেন তিনি সেই সন্ধে।
আরও পড়ুন: ‘অনেক বড় বংশের…’, হবু জামাই আরসালানকে নিয়ে মুখ খুললেন হৃতিক প্রাক্তন সুজন খানের মা, কবে বিয়ে?
এমনকী, এদিন নতুন প্রজন্মের বাংলা শোনার অভ্যেস চলে গিয়েছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্বেগ প্রকাশ করতেও শোনা যায়। এফএম রেডিয়োতে আগের মতো বাংলা গান না চলা নিয়েও কথা বলেন তিনি। কী করে আরও ভাল বাংলা গান মানুষের কাছে পৌঁছনো যা এদিন তা নিয়েও এই চার বিখ্যাত গায়কের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনাও করেন তিনি। একইসঙ্গে আগামীতে এই ধরনের সাংস্কৃতিক চর্চার আসর আরও বসবে বলে ঠিক হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোজ ১৬ ঘণ্টা উপোস! ঘরের খাবার খেয়েই, কীভাবে ২৫ কেজি ওজন কমালেন নেহা ধুপিয়া?
মনে করা হচ্ছে, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে যাতে সুশীল সমাজকে আরও বেশিভাবে পাশে পাওয়া যায়, তাই এই সিদ্ধান্ত বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ আগামী বিধানসভা ভোটে আরও কোমর বেঁধে নামবে বিজেপি। সেক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হাতে ভোট লড়তে হবে ঘাষফুলকে ক্ষমতা ধরে রাখতে। আরও কিছু বাঙালি তারকা ভোটে দাঁড়াতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। আগামী কয়েক বছরে বেশ ভালোই উত্তাল হবে বঙ্গ রাজনীতি।