নাগা চৈতন্য এবং শোভিতা ধুলিপালা তাদের ভক্তদের অবাক করে দিয়েছিলেন যখন তারা আগস্টে বাগদানের সিদ্ধান্ত নেন। এমনিতেও নাগা আর সামান্থার ডিভোর্স খুব বড় আঘাত ছিল তাঁদের ভক্তদের মনে। তবে শোভিতার সঙ্গে বাগদানের পর, এই প্রথম একসঙ্গে ছবি শেয়ার করলেন নাগা। তবে দেখা গেল, অবাঞ্ছিত মন্তব্যদের এড়াতে তাঁরা বন্ধ রাখলেন কমেন্ট সেকশন।
শোভিতার সঙ্গে নাগার প্রথম পোস্ট
নতুন পোস্টে নাগা ও শোভিতা দুজনকে দেখা গেল কালো পোশাকে টুইনিং করতে। নাগাকে ধূসর রঙের টি-শার্টের উপর একটি কালো চামড়ার জ্যাকেটে দেখা যায়। শোভিতা পরেছিলেন একটি স্লিভলেস কালো টপ এবং সঙ্গে একটি ওভারসাইজড ব্যাগি জিন্স বেছে নিয়েছিলেন। লিফটের ভিতরে থাকা আয়নার সাহায্য নিয়ে তাঁরা তুলেছেন সেলফিটা।
নাগা এর আগে সামান্থা রুঠ প্রভুর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। ২০২১ সালের অক্টোবরে এক যৌথ বিবৃতি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তাঁরা। কয়েক মাস আগে এই বছরের আগস্টে, নাগা চৈতন্যের বাবা, অভিনেতা নাগার্জুন ছেলের বাগদানের ঘোষণা করেন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে। এবং হায়দরাবাদে তাদের বাসভবনে হবু দম্পতির আংটি বদলের ঝলক ভাগ করে নিয়েছিলেন। যেখানে দম্পতিকে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে দেখা যায়। নাগাকে অফ হোয়াইট কুর্তা-পাজামায় দেখা গেলেও, শোভিতা পরেছিলেন নরম গোলাপি শাড়ি।
কদিন আগে যখন তেলেঙ্গনার মন্ত্রী কোন্ডা সুরেখা নাগা ও সামান্থার ডিভোর্স নিয়ে কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি দাবি করেন, সামান্থা ও নাগার বিচ্ছেদের পিছনে রয়েছে এক সুগভীর রাজনৈতিক চক্রান্ত। মন্ত্রীর আরও দাবি, এই চক্রান্তের পিছনে হাত ছিল তৎকালীন মন্ত্রী কেটি রামা রাও-এর। তখন নাগা একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে প্রথমবার ডিভোর্স নিয়ে মুখ খোলেন। লেখেন, ‘বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত জীবনের সবচেয়ে বেদনাদায়ক এবং দুর্ভাগ্যজনক একটি সিদ্ধান্ত যা একজনকে নিতে হয়। অনেক চিন্তাভাবনার পর, আমি এবং আমার প্রাক্তন পত্নী বিচ্ছেদের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আলোচনার ভিত্তিতে। তবে এ পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন ভিত্তিহীন এবং সম্পূর্ণ হাস্যকর গসিপ তৈরি হয়েছে। আমি আমার পূর্বের পত্নী এবং সেই সঙ্গে আমার পরিবারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধার কারণে এই সমস্ত কিছু নিয়ে নীরব রয়েছি। আজ, মন্ত্রী কোন্ডা সুরেখা গেরুর যে দাবি করা হয়েছে তা কেবল মিথ্যাই নয়, এটি একেবারেই হাস্যকর এবং অগ্রহণযোগ্য। নারীরা সমর্থন ও সম্মান পাওয়ার যোগ্য। মিডিয়ার শিরোনামের জন্য সেলিব্রিটিদের ব্যক্তিগত জীবনের সিদ্ধান্তের সুবিধা নেওয়া এবং শোষণ করা লজ্জাজনক।’