ভারতের কাজের ধরন, কালচার নিয়ে সম্প্রতি বেশ চর্চা হয়েছে। বিশেষ করে যখন নারায়ণ মূর্তি এক সপ্তাহে দেশের নাগরিকদের ৭০ ঘণ্টা করে কাজ করার বিধান দেন। এবার তাঁর সেই কথাকে সম্পূর্ণ ভাবে খারিজ করে দিলেন শার্ক ট্যাঙ্কের অন্যতম বিচারক এবং ব্যবসায়ী নমিতা থাপার। কী জানালেন তিনি?
নারায়ণ মূর্তির কথাকে খারিজ করে কী বললেন নমিতা?
এদিন একটি হিউম্যানস অব বম্বেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নমিতা থাপার জানিয়ে দেন কাজ করার বিষয় নিয়ে নারায়ণ মূর্তি যা বলেছেন সেটাকে তিনি একেবারেই মানেন না। বা সহমত নন। তাঁর মতে কোনও ব্যবসায়ী বা কোনও কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা যেভাবে কাজ করবে, সেই একই ভাবে কোনও কর্মী কখনই কাজ করবে না। বিশেষ করে যেখানে অর্থনৈতিক ব্যাপার জড়িয়ে আছে।
নমিতা এদিন তাঁর কথায় জানান, 'যাঁরা প্রতিষ্ঠাতা এবং স্টেকহোল্ডার অর্থাৎ যাঁরা অনেক অর্থ রোজগার করেন তাঁরা এটা করতেই পারেন। ২৪ ঘণ্টা ধরে কাজ করতে পারেন। এমকিউর (নমিতার কোম্পানি) যখন বাজারে এল তখন সেটার মূল্য ছিল ৩ মিলিয়ন টাকা। আমার পরিবার সেটার ৮০ শতাংশের মালিক ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই আমরা দিনে ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারি। আমরা করিও। কিন্তু কর্মীরা? উদাহরণ হিসেবে আমার অ্যাকাউন্টেন্টের কথাই ধরি। ওর অর্থনৈতিক অবস্থা আর আমার অবস্থা কি এক?'
নমিতা থাপার এদিন শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই প্রসঙ্গে। এতক্ষণ কাজ করলে সেটা স্বাস্থ্যের উপর কুপ্রভাব ফেলবে বলেও জানিয়ে দেন। তাই প্রোডাক্টিভিটি ঠিক রাখতে, সুস্থ থাকার জন্য ব্যালেন্স প্রয়োজন বলেই তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন: পারফরমেন্সের মাঝেই অরিজিৎকে তাক করে হুডি ছুঁড়ল ভক্ত! গান থামিয়ে এটা কী করলেন গায়ক?
নমিতার সাফ কথা, কাজের লিমিট করা যায় এমন রাখতে হবে, স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রাখতে হবে। কিন্তু অভাবনীয় সাফল্য পেতে গেলে নারায়ণ মূর্তির কথায় ওই সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতে হবে। আপনার কি মত এই বিষয়ে? আপনি কোনটাকে সমর্থন করেন?