একশো কোটির ক্লাব পেরিয়ে এখনও দেড়শো কোটির ক্লাবে ঢোকার অপেক্ষায় ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। হু হু করে ব্যবসা করছে ছবি। পাগলের মতো ভিড় হচ্ছে সিনেমাহলে। প্রায় সব শো-ই সুপার হিট। ১৯৯০ সালে যেভাবে কাশ্মীর থেকে ধর্মের দোহাই দিয়ে হিন্দু পণ্ডিতদের ঘরছাড়া করা হয়েছিল, তাই তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। ফলত দর্শকদের একটা বড় অংশ মনে করছে, দেশের এত বড় একটা ইতিহাস এতদিন জানত না কেউ। সকলেরই তা জানা উচিত।
তবে, ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর প্রশংসা যেমন হচ্ছে, বিরোধিতাও হচ্ছে। অনেকেই এই ছবিকে তথ্যের অপভ্রংশ বলে দাবি করেছে। তাঁদের মতে, ছবিতে মুসলমান সম্প্রদায়কে ইচ্ছাকৃতভাবে খারাপ আলোয় দেখানো হয়েছে। অনেকে এটিকে রাজনৈতিক চালেরও (বিজেপির!) আখ্যা দিয়েছেন। এবার ছবি নিয়ে মুখ খুললেন নানা পাটেকর। তাঁর মতে, এই সিনেমার ফলে সমাজ ভেঙে টুকরো হয়ে যেতে পারে!
সম্প্রতি নানা পাটেকরের কাছে বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ও অনুপম খের-মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত এই ছবি সম্পর্কে জানতে চায় মিডিয়া। উত্তরে নানা জানান, ‘হিন্দু ও মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষই এই ভারতের বাসিন্দা। দুই সম্প্রদায়েরই শান্তিতে থাকা উচিত। এঁদের একে-অন্যকে প্রয়োজন। পরস্পরকে ছাড়া থাকতে পারবেনও না। কোনও এক ছবির জন্য এই দুইয়ের মধ্যে বিভাজনের পরিস্থিতি তৈরি হওয়া ঠিক নয়। দেখতে হবে সকলেই যেন শান্তিতে থাকেন। এমন ছবি বানিয়ে যাঁর এই শান্তি ভাঙার চেষ্টা করছেন, তাঁদের কাছে এবার জবাব চাওয়া উচিত। তাঁদের বুঝিয়ে দেওয়া উচিত, এমন করলে সমাজটাই টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।’
প্রসঙ্গত, ছবির প্রশংসা শোনা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গলায়। ছবির প্রপশংসা করেছেন বলিউডের অক্ষয় কুমার, ইয়ামি গৌতম, কঙ্গনা রানাওয়াতরা। কঙ্গনা তো বলিউডের অন্যান্য তারকাদের কটাক্ষ করেও বলেছেন, ‘সবাই আসলে ভয় পেয়েছে। তাই কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে মুখ খুলছে না।’