কদিন আগেই নিউটাউনে মহা সমারোহে নতুন এসি রেস্তোরাঁ খোলেন নন্দিনী। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি ভিডিয়োতে নন্দিনীর বাবাকে বলতে শোনা গেল, বেশ কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর, ফের তাঁর দোকান খুলতে চলেছে।
মাত্র ৪ বছরে ফুটপাথের ত্রিপল ঢাকা দোকান থেকে, একেবারে এসি রেস্তোরাঁ! বলা চলে রাতারাতি তিনি উন্নতির শিখরে পৌঁছে গিয়েছিলেন এক ইউটিউবারের পাল্লায় পড়ে। বলা ভালো, ইন্টারনেট সেনসেশন হয়ে ওঠেন করোনা লকডাউনের কালে। ডালহৌসির ফুটপাথে জিন্স-টি শার্ট-গলায় ব্লু টুথ হেডফোন পরা নন্দিনীর নাম হয়ে যায় ‘স্মার্ট দিদি’। তবে ডালহৌসির দোকানখানা ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর এখন তিনি দোকান খুলেছেন নিউটাউনে। আর যেই সেই দোকান নয়, যাকে বলে এসি রেস্তোরাঁ।
আরও পড়ুন: ‘অচেনা মানুষ শুধুমাত্র ভালোবেস...’, জানুয়ারিতে রুবেলকে বিয়ে, কোন গোপনের সেটে আইবুড়ো ভাত খেল শ্বেতা
আকাঙ্খা মোড়ে এলকেডিএ কমিউনিটি হলের ঠিক উলটো দিকে দোকান নিয়েছেন নন্দিনী। তবে শুরু হতে না হতেই, তা বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণ নিজের মুখেই জানালেন তাঁর বাবা। এর আগে নন্দিনীর বাবা জানিয়েছিলেন সাড়ে তিন লক্ষ টাকা দিতে হয়েছে তাঁকে অ্যাডভান্সে। আর দোকানের ১ মাসের ভাড়া ৫০ হাজার টাকা। সঙ্গে ইলেকট্রিক বিল, আনুষাঙ্গিক খরচ, কর্মচারীদের মাসের মাইনে সব মিলিয়ে ২ লাখ খরচ হয়েই যায়।
আরও পড়ুন: বিকিনিতে ইয়ালিনি, চুমু রাজ-শুভশ্রীর, বান্ধবীর সঙ্গে ইউভান! বছর শেষে দেশ ছাড়লেন দম্পতি
এদিকে নতুন একটা ভিডিয়োয় আবার নন্দিনীর বাবাকে বলতে শোনা গেল, রেস্তোরাঁয় সঠিক পাচক অর্থাৎ শেফ খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। ফলে কদিন রান্নার লোকের অভাবে দোকান বন্ধ ছিল। অবশেষে এই সমস্যা মিটেছে। নতুন লোকও পেয়ে গিয়েছেন।
‘ভালো কারিগর না পেলে, ভালো রান্নার লোক না পেলে আমি দোকানবন্ধ রাখাই শ্রেয় বলে মনে করি। এখন ভালো কারিগর পেয়েছি। দোকান খুলে গেছে। দোকান এখন থেকে রোজই খোলা থাকবে। সবাই এবার আসত পারবেন নতুন দোকানে’, বললেন নন্দিনীর বাবা।
আরও পড়ুন: দেব যেন আগুনের গোলা! সন্তানকে হারিয়ে শুক্রবারেও বক্স অফিসে বাজিমাত খাদানের, ৮ দিনের মোট আয় কত
একসময় ডালহৌসির দোকানে ইউটিউবারদের ভিড়ে পথচলাই দায় হয়ে পড়েছিল সাধারণ মানুষের। এমনকী, আশেপাশের দোকানদাররাও নন্দিনী ও তাঁর বাবার নামে অভিযোগ করতেন, ব্যবসায় ক্ষতির। যদিও এবার বেশ খোলামেলা জায়গা বেছেছেন। রান্নার জায়গা বড়। আলাদা বসার জায়গা, তাতে রড আয়রনের চেয়ার-টেবিল। এমনকী, দোকানের বাইরে তন্দুরি করার ব্যবস্থাও রেখেছেন তিনি। ব্যবসায় মোটা অঙ্কের বিনিয়োগই করেছেন মেয়ে আর বাবা।