ভাগ্য বদলাতে সময় লাগে না-- এই কথার সঙ্গে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। ঠিক তেমনটাই হয়েছে নন্দিনী গাঙ্গুলীর সঙ্গে। ডালহৌসিতে পাইস হোটেল চালানো মেয়েটি এখন কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় ‘তারকা’। এই স্মার্ট দিদিকে নিয়ে ভিডিয়ো বানাতে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকে ইউটিউবাররা। তিনি নিজেও তো নাম লিখিয়েছেন অভিনয়ে। সঙ্গে আবার চালান নিজের ইউটিউব চ্যানেল। কিছু ব্র্যান্ডের প্রোমোশনও করতে দেখা যায় আজকাল তাঁকে।
জানুয়ারি মাসেই ডালহৌসির পাশাপাশি নিউটাউনে দোকান খুলেছেন নন্দিনী। এবার আর ফুটপাথে নয়। বরং চারদিক ঘেরা, মাথায় টিনের চাল দেওয়া দোকান। যেখানে সকাল থেকে রাত অবধি খাবার মিলবে। এই দোকানের নাম রেখেছেন তিনি নন্দিনী দি-র হেঁশেল। তবে ব্যবসা আরও বাড়ছে। সম্প্রতি এক ইউটিউব চ্যানেলই দিয়ে গেলেন তাঁরই আভাস।
আরও পড়ুন: কলকাতার নামি চাইনিজ রেস্তোরাঁয় ছিল সৌরভ-ডোনার প্রথম ডেট! দেবা-দেবী গেছিলেন কোথায়
অনেকেই প্রশ্ন করেন, নিউটাউনের হোটেলের পর কি ডালহৌসির দোকান বন্ধ হবে? নন্দিনীর কথায়, কোনওদিনই না। কারণ ওটাই আসল, মা। আর বাদবাকি দোকানগুলি ‘সন্তান’। চলতি বছরে ৪টি দোকান খোলার কথাও জানিয়ে দিলেন নন্দিনী। নিউটাউনের পর এবার তা খোলা হচ্ছে ডিএলএফের কাছে। এমনটাই জানালেন সেই ইউটিউব ভিডিয়োতে।
আরও পড়ুন: ‘বিয়ে হল না, এদিকে বাচ্চা…’, বনির ‘হবু সন্তান’ আসা নিয়ে কথা বললেন কৌশানি
এমনকী নন্দিনীর দোকানের ফ্র্যাঞ্চায়েজি খোলার অফারও রয়েছে। ব্যবসা বাড়াতে অন্য লোকের সঙ্গে হাত মেলাতে রাজি তিনি। জানালেন সেক্ষেত্রে মানতে হবে কিছু শর্ত। খাবারের দাম ও মান ডালহৌসি ও নিউটাউনের দোকানের মতোই রাখতে হবে। মাছ-মাংস-সবজি সব ব্যবহার করতে হবে তাজা। আর সোজাসুজি এসে যে কোনও দোকানে নন্দিনীর সঙ্গে কথা বললেই হবে। এক্ষেত্রে ম্যাসেজ, ফোন বা মেইলে যোগাযোগ করা চলবে না।
আরও পড়ুন: ‘একা শুয়ে বিছানায় অসুবিধে হয়…’! বউ চৈতালিকে ছাড়া থাকতেই পারেন না রূপঙ্কর
নন্দিনী একাধিক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, তিনি পড়াশোনা করেছেন ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে। যদিও চাকরি করতেন একটি হোটেলে। লকডাউনের কিছু আগে বাবার অনুরোধ ও স্বপ্ন রক্ষা করতেই এই দোকানের কাজ শুরু করেছিলেন। তারপর অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়েছেন। একটি ইউটিউব ভিডিয়ো ভাগ্য বদলেছিল রাতারাতি। স্মার্ট, কথায়-কথায় হিন্দি-ইংরেজি বলা, জিন্স-টিশার্ট পরা মেয়েটিকে ফুটপাতে রান্না করতে দেখে আগ্রহ বাড়ে মানুষের। দোকানে বাড়ে খদ্দের। নন্দিনীর জনপ্রিয়তাও বাড়ছে দিনদিন লাফিয়ে লাফিয়ে।