Doctor's hunger strike: ‘এই অনশনে ডাক্তারদের ওজন বাড়বে না, চকলেট খাবে…’, নাম না করে মমতাকে খোঁচা প্রখ্যাত চিকিৎসকের?

সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় ডাক্তার নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি করের নারকীয় ঘটনা ঘটার পর থেকেই, তিনি এই ইস্যুতে সরব। জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন নিয়ে কী লিখলেন?

দেখতে দেখতে ১৮ ঘণ্টা হয়ে গেল জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের। ইতিমধ্যেই এভাবে দেবী দুর্গার আগমনের সময় যে নিঃসার্থ লড়াই লড়ছেন তাঁরা, তাতে অভিভূত গোটা বাংলা। শুধু তাই নয়, জুনিয়রদের পাশে বাংলার সিনিয়র ডাক্তাররাও। যা স্পষ্ট উঠে এল বিশিষ্ট চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ে ফেসবুক পোস্ট থেকেই। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয় ডাক্তার নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নানা ধরনের রোগ নিয়ে, এর আগেও বহু পোস্ট করেছেন তিনি। তবে আরজি করের নারকীয় ঘটনা ঘটার পর থেকেই, তিনি এই ইস্যুতে সরব। এমনকী প্রকাশ্যে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করার কোনো সুযোগও ছাড়ছেন না। 

তিনি জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে লিখলেন, ‘জুনিয়রদের স্যালুট জানাই। তবে এই অনশনে ওজন বাড়বে না। চকলেট খাবে না ওরা। কিন্তু বধির প্রশাসন এর পরে কি কোনও হুঁস ফিরবে?’ স্পষ্টতই কার দিকে ইঙ্গিত তা বুঝতে কারোরই সমস্যা হয়নি। 

বিরোধীরা দাবি করে, সিঙ্গুর নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন অনশনে বসেছিলেন, তখন তাঁর ২৬দিন অনশন করেও বেড়ে গিয়েছিল কয়েক কেজি ওজন। শোনা যায়, স্যান্ডুইচ-চকোলেট এসব নাকি যেত তৃণমূল সুপ্রিমোর উদরে। আর এই নিয়ে হামেশাই মিম বানানো হয়, যা এতবছর পরেও বেশ ভাইরাল হয়। বোঝা যায়, নারায়ণবাবুর খোঁচাও সেদিকেই। 

একজন মন্তব্য করেন এই পোস্টে, ‘স্যার সব‌ই বললেন, কিন্তু পেছনে পর্দা নেই যেখানে ঘন ঘন যাওয়া-আসা! বাংলার মানুষ সব‌ই দেখেছে। লড়াইয়ের ময়দানে 'ওনাকে' এত হালকা ভাবে নিয়া উচিত হয়নি। এই শিক্ষার দরকার ছিল।’ আরেকজন লেখেন, ‘প্রশাসনের কিছুই হবে না। কিন্তু আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে ওদের মুখ, চোখের অবস্থা দেখে। শিক্ষিত ছেলে-মেয়েগুলোর কি করুণ পরিণতি! এই পরিস্থিতিতে কী করে ডান্ডিয়া নাচ করে কে জানে!!!! ধিক্কার জানাই। ছিঃ!’ আরেকজন লিখলেন, ‘খুব কষ্ট হচ্ছে... ওদের মা-বাবার মনের কী অবস্থা হচ্ছে! সত্যিকারের ন্যায় বিচারের জন্য এত লড়াই করতে হচ্ছে!! কোথায় আমরা রয়েছি, লজ্জা হয়!’