নাসিরুদ্দিন শাহ, বলিউডের এমন একজন অভিনেতা যিনি সব রকম চরিত্রেই অভিনয় করেছেন। খলনায়ক হোক বা কমেডি, মুখ্য চরিত্র হোক বা পার্শ্ব চরিত্র, চরিত্রকে বুঝে সেই অনুযায়ী অভিনয় করেছেন তিনি। টানা কয়েক দশক অভিনয় করার পরে বলিউডের সিনেমা নিয়ে কী বললেন নাসিরুদ্দিন?
নাসিরুদ্দিন বলেন, আমার মনে হয় যে সিনেমাগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তৈরি হয়, সেগুলি বিশ্বে কোনও পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে না। এই সিনেমাগুলির হাত ধরে সাময়িক পরিবর্তন হয়ত আসে মানুষের মনে, কিন্তু সেটি সুদূরপ্রসারী হয় না। ২০২৫ সালের এই দেশ ভারত কেমন ছিল তা যদি মানুষ ১০০ বছর পর বলিউডের সিনেমা দেখে বুঝতে চান, তা সত্যিই একটা বড় ট্রাজেডি হবে।
আরও পড়ুন: মদ্যপ অবস্থায় তর্কাতর্কি, সুভাষ ঘাইকে কষিয়ে থাপ্পড় মারেন সলমন! তারপর...?
আরও পড়ুন: ‘লাভ অ্যান্ড ওয়ার’- এ থাকবেন দীপিকা পাড়ুকোনও, কোন চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে?
অভিনেতা বলেন, বর্তমানে যে সমস্ত বিষয় নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়, তাতে একজন নারীকে ছোট করে পুরুষকে মহান দেখানো হয়। তবে আপনি যদি অন্যরকম সিনেমা বানাতে চান, তাতে আপনি কারোর সহযোগিতা পাবেন না। বাণিজ্যিক উপাদান থাকবে না সেইসব সিনেমায়। খুব স্বাভাবিকভাবেই ব্যবসা করতে গেলে আপনাকে এমন সিনেমাই বানাতে হবে। তাই এই সিনেমার ইমেজ আগামী ১০০ বছর পর মানুষের মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
অভিনেতা আরও বলেন, আমার মনে হয় এখন যে সিনেমা তৈরি হয় সেগুলি সেইসব পুরুষদের জন্য প্রযোজ্য, যারা মহিলাদের অবজ্ঞার চোখে দেখে। আমি এমন কিছু সিনেমা করেছি যা শুধুমাত্র টাকার জন্য করেছি। আমি সেসব সিনেমা বেছে নেওয়ার জন্য দুঃখিত। সৌভাগ্যবশত আমি আমার ভালো কাজগুলির মাধ্যমে মানুষের মনে জায়গা করে রাখতে পেরেছি।
আরও পড়ুন: ‘স্কাই ফোর্স’ দেখে অভিভূত বনি কাপুর, জড়িয়ে ধরলেন অক্ষয়-বীরকে
আরও পড়ুন: ২৯ জানুয়ারি অবধি পুলিশের হেফাজতে সইফের উপর হামলাকারী বাংলাদেশী, ‘আরও তদন্ত প্রয়োজন’, নির্দেশ আদালতের
প্রসঙ্গত, আজ থেকে শুরু হয়েছে KLF, যেখানে ১৫টি দেশের প্রায় ৫০০জন স্পিকার অংশগ্রহণ করেছেন। এই ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত কোঝিকোর সমুদ্র সৈকতে। অনুষ্ঠানটি চলবে আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই অনুষ্ঠানে ৬ লাখের বেশি দর্শক উপস্থিত থাকবেন। এটিকে এশিয়ার বৃহত্তম সাহিত্য উৎসব বলে মনে করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন নোবেল বিজয়ী ভেঙ্কি রামকৃষ্ণান এবং এসথার ডুফলো, বুকার পুরস্কার বিজয়ী আইরিশ ঔপন্যাসিক পল লিঞ্চ, অভিনেতা রত্না পাঠক শাহ এবং প্রকাশ রাজ, চলচ্চিত্র নির্মাতা মণি রত্নম, পুরস্কার বিজয়ী লেখক-কবি পেরুমাল মুরুগান এবং রাজনীতিবিদ-লেখক শশী থারুর।