এটা নাকি ওটিটির যুগ! অনেকেই তেমন ছবি না হলে সিনেমা হলমুখী হন না আর। অপেক্ষা করেন কবে ছবিটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে আর সেখানে তিনি দেখবেন ছবিটি। এছাড়া এক একটি ওয়েব মাধ্যমে কত অপশন, কত ধরনের কনটেন্ট। যা ইচ্ছে, যেমন ইচ্ছে দেখা যায়। ফলে মহামারির পর থেকে একটা বিতর্ক খুব শোনা যাচ্ছে তবে কি ওটিটি সিনেমা হলের জায়গা কেড়ে নিতে চলেছে আগামীতে? এবার সেই প্রসঙ্গে কথা বললেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহ।
অভিনেতা জানান যে ধীরে ধীরে আগামী ১০ বছরের মধ্যে সিনেমা হল বলে আর কিছু থাকবে না। তাঁর মতে, 'ওটিটি ভবিষৎ। আমরা পছন্দ করি বা না করি, এটাই সত্যি, এটাই বাস্তব। আমার তো মনে হচ্ছে গোটা বিশ্ব থেকেই শীঘ্রই এই সিনেমা হল বিষয়টাই উঠে যেতে চলেছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে এটা হবেই, তখন কোনও সিনেমা হল থাকবে না আর। তখন মানুষ একা ঘরে বসে সিনেমা দেখবে। আমি যদিও জানি না সেটা ভালো না মন্দ।'
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, বিগত কয়েক বছরে নাসিরউদ্দিন শাহ একাধিক ওটিটি প্রজেক্টে কাজ করেছেন, যেমন ব্যান্ডিটস, মডার্ন লাভ: মুম্বই , ইত্যাদি। এছাড়া তাঁকে গেহেরাইয়ান, কুত্তে, ইত্যাদি ছবিতেও দেখা গিয়েছে। তাঁকে আগামীতে জি ফাইভের সিরিজ তাজ: ডিভাইডেড বাই ব্লাডে দেখা যেতে চলেছে।
তবে কেবল ওটিটি নয়, এই অভিনেতা সম্প্রতি তাঁর সেই সাক্ষাৎকারে দক্ষিণী ছবির ভূয়সী প্রশংসা করেন। জানালেন কেন এগুলো হিন্দি ছবির তুলনায় বক্স অফিসে এত ভালো চলছে। কোন মন্ত্রে এত ভালো ফল করছে সেগুলো। সেই সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্টই জানান যে তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালায়লাম সহ সমস্ত দক্ষিণী ভাষার ছবির যে কনটেন্ট সেটা টোকা নয়, বরং অরিজিন্যাল আর প্রতিটা ছবিতেই অভিনবত্ব, নতুন ভাবনা মিশে আছে। হিন্দি ছবিতে সেটা নেই।
এই বিষয়ে অবশ্যই উল্লেখ্যযোগ্য যে গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে কান্তারা, কেজিএফ ২, আরআরআর, পুষ্পা, ইত্যাদি ছবিগুলো অসমুদ্র হিমাচল দাপিয়ে ব্যবসা করেছে। শুধু ব্যবসা করেনি, অক্ষয় কুমার, আমির খান, রণবীর কাপুর, রণবীর সিংয়ের মতো তারকাদের ছবিগুলোকে রীতিমত টেক্কা দিয়ে বক্স অফিসে কামাল দেখিয়েছে। যদিও ২০২৩ এর শুরুটা পাঠান ছবির হাত ধরে বলিউডের ভালোই হয়েছে। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'স্বাদের (ভাবনা) নিরিখে হয়তো অত ভালো নয় দক্ষিণী ছবি। কিন্তু পর্দায় সেই ভাবনা ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে এতটুকু খামতি থাকে না। নিখুঁত কাজ দেখা যায়।'