হার্দিক পান্ডিয়া এবং নাতাশা স্টানকোভিচের ডিভোর্স জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছিল সপ্তাহ খানেক আগেই। এবার এ ইতারকা দম্পতিকে নিয়ে সামনে আসছে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ! ডিভোর্সের জল্পনা নাকি ছিল পাবলিসিটি গিমিক! হ্যাঁ, আইপিএলে ব্যর্থতা ঢাকতে ডিভোর্স অস্ত্র ব্যবহার করেন হার্দিক, এমনটাই দাবি নিন্দকদের। আরও পড়ুন-বিয়ের আগে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে, দু-বছর পর হার্দিক ও নাতির মুখ দেখেন নাতাশার বাবা-মা!
আইপিএল মিটতে না মিটতেই নাতাশা তার ইনস্টাগ্রাম বায়ো থেকে পান্ডিয়া পদবি সরিয়ে ফেলেছিলেন, সেই থেকেই শুরু ডিভোর্স চর্চা। এরপর হার্দিকের সঙ্গে নিজের বিয়ের ছবিও ইনস্টাগ্রামের দেওয়াল থেকে উড়িয়ে দেন নাতাশা। পাপারাজ্জিরা তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলেও তিনি কোনও ব্যাখ্যা দেননি, বরং বিদেশি বন্ধুর সঙ্গে ফুরফুরে মেজাজে লেন্সবন্দি হতে ডিভোর্স জল্পনায় হাওয়ায় দিয়েছিলেন। হার্দিকের সঙ্গে বিয়ের ছবিগুলো ইনস্টাগ্রামে আগেই 'আন-অ্যাকাইভ' করেছেন নাতাশা, অভিনেত্রীর সাম্প্রতিক পোস্ট বুঝিয়ে দিল তাঁর সুখী দাম্পত্যে মোটেই চিড় ধরেনি, ডিভোর্স তো দূর অস্ত!
নিউ ইয়র্কে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে ব্যস্ত হার্দিক। মুম্বইতেই আছেন নাতাশা। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে, নাতাশা ‘বেবি পান্ডিয়া’র ছবি দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন পান্ডিয়া তাঁর জীবন থেকে আলাদা হয়নি। পান্ডা সোয়েটার পরা কুকুরের একটি ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, 'বেবি রোভার Pand(Y)a'।' নাতাশার এই শব্দছকে নজর আটকেছে নেটিজেনদের। ট্রোলারদের অভিযোগ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক হিসাবে আইপিএল ২০২৪-এ হার্দিকের খারাপ পারফরম্যান্স থেকে ফোকাস সরাতে এবং সকলকে বিভ্রান্ত করার জন্য তাদের বিচ্ছেদের নাটক করেছিলেন।
নাতাশার পোস্টটি ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়তেই অভিযোগের বন্যা বয়ে যায়। তাদের দাবি, এই বিবাহবিচ্ছেদের গুজব নাতাশা ও হার্দিকের সাজানো পাবলিসিটি স্টান্ট ছাড়া আর কিছুই নয়। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী লিখেছেন ‘মনে তো হচ্ছে হার্দিক-নাতাশা জনসাধারণের সহানুভূতির জন্য পুরোটা নাটক করেছে’, অন্য একজন ট্রোল করে লিখেছেন,'আইপিএলের ব্যর্থতা ঢাকতে পুরোটাই নাটক করছিল স্বামী-স্ত্রী। এই খেলাটা অন্তত পান্ডিয়া ভালো খেলেছে'।
নাতাশার সঙ্গে ভালোবাসার বিয়ে হার্দিকের। ২০২০ সালের একদম শুরুতে নিজেদের সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক সিলমোহর দিয়েছিলেন যুগল। দুবাইয়ের নীল জলে ভেসে নাতাশার হাতে আংটি পরিয়ে বাগদান সেরেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার তারকা ক্রিকেটার। জানা যায়, ২০১৮ সাল থেকে সম্পর্কে ছিলেন দুজনে। এনগেজমেন্টের মাস খানেকের মধ্যেই নাতাশার প্রেগন্যান্সি জল্পনা মাথাচাড়া দেয়। ওই বছর ৩১ মে গোপনে বিয়ে করেন তাঁরা এবং নাতাশা মা হতে চলার সুখবরও ভাগ করে নেন। এর ঠিক দু-মাস পর অর্থাৎ ৩০ জুলাই অগস্ত্যর জন্ম দেন নাতাশা। অর্থাৎ হিসাব বলেছে বাগদানের সময়ই প্রেগন্যান্ট ছিলেন হার্দিক পত্নী।
গত বছর প্রেমদিবসে রাজস্থানে ধুমধাম করে ফের একবার সাত পাকে বাঁধা পড়েন হার্দিক-নাতাশা। ছেলে কোলে এইবার বিয়ে সারেন দম্পতি।