দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো দিনদিন যেন আরও জনপ্রিয় হতে চলেছে। বর্তমানে শুধু বিনোদন নয়, নানা জগতের জনপ্রিয় মানুষেরা আসেন এখানে। ই সপ্তাহান্তে দীপিন্দর এবং জিয়া গোয়েলের সঙ্গে নারায়ণ এবং সুধা মূর্তিকে নিয়ে শো করার পর, হোস্ট কপিল শর্মার সঙ্গে পরের সপ্তাহান্তে দেখা যেতে চলেছে নবজ্যোত সিং সিধুর।
পরের সপ্তাহের প্রোমো শোয়ের
একটি নতুন প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে যে নবজ্যোত অতিথি বিচারকের চেয়ারে বসে আছেন, যা দেখে কপিল বলছেন, ‘সুনীল পাজি (সুনীল গ্রোভার) আপনি রোজই সিধুপাজি হয়ে চলে আসেন!’ প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার এরপর নিজস্ব ঢঙে স্পষ্ট করে দেন, তিনি আসল! যা দেখে বেশ নার্ভাস হয়ে পড়েন অর্চনা, যিনি এতদিন ধরে সিধু-র চেয়রাে। কপিলকে বলেনও যাতে তিনি তুলে দেন সিধুকে ওই চেয়ার থেকে।
ক্রিকেট তারকা হরভজন সিং ও তার স্ত্রী গীতা বসরার সঙ্গে এই শোতে অংশ নেবেন। সিধু নিজেই এই প্রোমোটি শেয়ার করে নিয়েছেন ইনস্টাগ্রামে। আর লিখেছেন, ‘বাড়ির দিক দৌড়’। তাতে আবার হরভজন মন্তব্য করেন, ‘পাজি ছা গ্যয়ে… শো টাইম উইথ বসম্যান’! এক নেটিজেন লিখলেন, ‘লেজেন্ড অবশেষে ফিরেছে। খুব মিস করেছি।’ তৃতীয়জনের মন্তব্য, ‘সিধু সাব জিন্দাবাদ’। চতুর্থজন লেখেন, ‘আপনাকে দেখে কী যে ভালো লাগছে। সিধু ছাড়া কপিলের শো-র মজা অনেক গুণ কমে যায়’।
নভজ্যোত সিং সিধু কেন শো ছেড়ে চলে গেলেন
নবজ্যোত সিং সিধু ২০১৯ সালে দ্য কপিল শর্মা শো ছেড়ে চলে যান? ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলা নিয়ে তাঁর মন্তব্যের পরে দেশজুড়ে যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল, সেই কারণে তিনি চলে গিয়েছিলেন। সন্ত্রাসী হামলার পরে, সিধু বলেছিলেন যে সন্ত্রাসবাদকে পুরো দেশের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত নয় এবং শত্রুতার পরিবর্তে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছিলেন। তার এই মন্তব্য উল্লেখযোগ্য বিতর্কের জন্ম দেয় এবং তাকে শো থেকে অপসারণের আহ্বান জানায়। জনসাধারণের ক্ষোভের কারণে, শেষ পর্যন্ত তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন অর্চনা পুরান সিং, যিনি তখন থেকে শোতে নিয়মিত আছেন।
এই প্রোমো সামনে আসার পর, অনেকেই মনে করছেন এই বুঝি চাকরি গেল অর্চনার! যদিও আপাতত যা মনে হচ্ছে অতিথি হিসেবেই আসবেন তিনি। বলে রাখা ভালো, এই নিয়ে অর্চনা একবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন যে, তিনি বিশ্বাস করেন না যে তিনি সর্বদা দ্য কপিল শর্মা শো-র চেয়ারে থাকবেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ এমন আচরণ করে, যেন তাঁর জীবনে শুধু এই চাকরিটাই আছে, অন্য কোনো কাজ নেই। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, ‘যদি কখনও সিধু ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় বা শোয়ের চ্যানেল বা প্রযোজক সিধুকে ফিরিয়ে আনতে চায় চায়, আমি সর্বদা এগিয়ে যেতে এবং অন্য কোনও প্রোজেক্ট খুঁজে নিতে রাজি আছি।’