সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটির তরফে লোটাস ৩৬৫-কে নোটিশ পাঠানো হয়। এই গেমিং কোম্পানির তরফে খবরের কাগজে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এই বিজ্ঞাপনে সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে তারা নাকি ভারতের সব থেকে বিশ্বস্ত স্পোর্টস এক্সচেঞ্জ সেই ২০১৫ সাল থেকে।
সিসিপিএর তরফে এই কোম্পানিকে তাদের দাবির সমর্থনে প্রমাণ জমা দিতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই কোম্পানির হয়ে যে তারকারা প্রচার করছেন এবং এই বিজ্ঞাপনগুলোকে সমর্থন করছেন তাঁদেরকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি, উর্বশী রাউতেলাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাঁদের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে যে তাঁরা কী করে জানলেন যে এই কোম্পানি যে দাবি করছে সেটা সঠিক। না জেনে কীভাবে তাঁরা এই বিজ্ঞাপন সমর্থন এবং প্রচার করছেন সেটাও জিজ্ঞেস করা হয়েছে তাঁদের। কনজিউমার অ্যাফেয়ার্স মিনিস্ট্রির তরফে সমস্ত তারকাদের কোনও বিজ্ঞাপনে কাজ করার আগে, সেটা প্রচার করার আগে সব দিক বিবেচনা করে নেন। তাঁদের এও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে কোনও বিজ্ঞাপনে কাজ করার আগে তাঁরা যেন অবশ্যই কোম্পানির তরফে যা দাবি করা হচ্ছে সেটার কাগজ দেখে নেন।
নওয়াজউদ্দিন বা উর্বশী যেহেতু তেমনটা করেননি এবং বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রচার করেছেন সেহেতু তাঁদের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পদক্ষেপ নেওয়ার আগে তাঁদের থেকে আপাতত সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটির তরফে উত্তর চাওয়া হয়েছে।
একেই নওয়াজউদ্দিনকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই তার মধ্যে যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া হল এই নোটিশ!
কিছুদিন আগে নওয়াজউদ্দিনের স্ত্রী আলিয়া জানিয়েছেন তাঁদের সন্তানরা নাকি বরাবর নওয়াজকে ছাড়াই বড় হয়েছে। তাদের বাবা তাদের কাছে থাকত না কখনই। তাঁদের এই আইনি ঝামেলা চলাকালীন আলিয়া আরও জানান যে অভিনেতা কখনই তাঁদের সন্তানদের দায়িত্ব নেননি, মানুষ করেননি। ওরাও অভিনেতার সঙ্গে থাকতে চায় না।
তিনি আরও জানান এখন মুম্বইতে তাঁর পক্ষে থাকা দুঃসহ হয়ে উঠেছে কারণ তিনি থাকার জন্য কোনও ফ্ল্যাট ভাড়া পাচ্ছেন না। তিনি বলেন, 'মুম্বইতে কেউ আমাকে ফ্ল্যাট ভাড়া দিচ্ছেন না। যেখানেই যাচ্ছি না কেন সেখানে না করে দিচ্ছে। আমাদের সম্পর্কের এই ঝামেলার জন্যই অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। সবাই ভাবছে আমায় ঘর ভাড়া দিলে তাঁদের বিপদে পড়তে হবে পরে।'