স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির সঙ্গে নওয়াজউদ্দিনের আইনি লড়াই চলছেই। তবে এই লড়াইয়ে ভাই নওয়াজ নয়, ভাতৃবধূ আলিয়ার পক্ষই নিয়েছেন শামস নবাব সিদ্দিকি। কয়েকদিন আগেই আলিয়ার হয়ে সওয়াল করে শামস এক সক্ষাৎকারে বলেন, ‘নওয়াজ ভালো অভিনেতা হলেও ভালো মানুষ নন’। নিজের স্বার্থে উনি যেকোনও কারোর সঙ্গ ত্যাগ করতে পারেন। সম্প্রতি দুই সন্তান সহ স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগেও আলিয়ার পাশেই দাঁড়ালেন শামসউদ্দিন। তাঁর দাবি, শুধু মেয়ে শোরাকে বাড়িতে ঢুকতে দিয়েছেন নওয়াজ।
আলিয়া প্রসঙ্গে শামস নবাব সিদ্দিকি জানান, ‘ওঁরা এখনও বাড়ির বাইরেই রয়েছেন। পুলিস ওঁদের বাড়িতে ঢুকতে সাহায্য করবেন। আলিয়া গতকাল রাতে ভাইঝি শিবানীর বাড়িতে ছিলেন। এখনও ওখানেই আছেন। ওঁদের পরিচারিকাও আলিয়াদের সঙ্গেই রয়েছেন।’ শামস নবাব সিদ্দিকি আরও বলেন, ‘আলিয়াকে যখন বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি, তখন ও নওয়াজকে মেসেজ করেছিল, উত্তর আসেনি। এরপর মেয়ে শোরা ফোন করলেন নওয়াজ ওকে বলেন, সে শুধু ভিতরে যেতে পারে।' নওয়াজের দুই সন্তান শোরা ও ইয়ানি প্রসঙ্গে শামস বলেন, ‘ওরা দুবাই থেকে ফেরার পর থেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। গত ৪৫ দিন ওরা বাংলোতেই ছিল।’ যদিও শামস নবাব সিদ্দিকি জানান, তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে বিশেষ কথা বলেন না।
এদিকে মেয়ে শোরাকে বাড়িতে ঢোকার অনুমতি দিলেও ছেলে ইয়ানিকে নওয়াজ কেন ঢুকতে দিলেন না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এর আগে নওয়াজের মা মেহেরুন্নিসা সিদ্দিকি ইয়ানি আদৌ নওয়াজের সন্তান কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।
এদিকে স্ত্রী ও সন্তানদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে অভিনেতার মুখপাত্র জানান, বাড়িটি আদৌ তাঁর নয়। ওটি এখন তাঁর মায়ের নামে, তিনি ওই বাড়িতে নাতি-নাতনি ছাড়া আর কাউকে ঢুকতে দিতে নারাজ। নওয়াজের তরফে আরও জানানো হয়, ২০১৬ সালে তিনি আলিয়াকে মুম্বইতে একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন, নিজের উইলেও সেই ফ্ল্য়াট আলিয়ার নামেই রয়েছে। আলিয়া চাইলেই সে ফ্ল্যাটে ছেলেমেয়েদের নিয়ে থাকতে পারেন। সেখানে যেতে তাঁদের কেউ নিষেধ করেননি।
এদিকে শামস নবাব সিদ্দিকির দাবি, নওয়াজ যে বাড়িটি মায়ের নামে রয়েছে বলে জানাচ্ছেন, সেটি আদৌ সত্যি নয়। কারণ বাড়ির জন্য যে কাগজপত্র তৈরি করা হয়েছিল মাকে উপহার দেওয়ার জন্য, সেটা আসলে ভুয়ো। আসলে ওই বাংলো নওয়াজের।