বলিউডে নিজের সাদামাটা স্বভাবের জন্যই পরিচিতি পেতেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। তবে, ভারতীয় শিক্ষা ব্যবস্থায় খুশি না হয়ে ছেলে-মেয়েকে দুবাই পাঠাচ্ছে, এই খবর সামনে আসতেই বেশ চটেছিলেন দেশের মানুষ। আপাতত সব তৈরি। ছেলে-মেয়ের দুবাইয়ের স্কুলে ভর্তির সমস্ত প্রক্রিয়াও হয়ে গিয়েছে। খুব শীঘ্রই তাঁদের নিয়ে স্ত্রী-র সঙ্গে বিদেশ পাড়ি দেবেন এই বলি অভিনেতা।
প্রথমে ঠিক ছিল ছেলে-মেয়েকে দুবাইয়ের স্কুলে ভর্তি করাতে একা যাবেন নওয়াজ-পত্নী আলিয়া। তারপর তাদের সেখানের হোস্টেলে রেখেই ফিরে আসবেন দেশে। তবে এবার বউ আর সন্তানদের সঙ্গে সময় কাটাতে নিজেও যাচ্ছেন নওয়াজ। কিছুদিন আগেই স্ত্রী-র সঙ্গে সংঘাত চরমে উঠেছিল। প্রকাশ্যেই চলেছিল কাদা ছোঁড়াছুড়ি। তবে সেসব কাটিয়ে উঠেছেন দু'জনেই। তাই হয়তো পরিকল্পনা এই আউটিংয়ের।
মাস খানেক আগেই কানে এসেছিল, লকডাউনের সুবাদে অনলাইনে পড়াশোনা বিলকুল পছন্দ হচ্ছে না শোরা এবং ইয়ানির (নওয়াজের পুত্র ও কন্যা)। দীর্ঘদিন অনলাইনে পড়াশোনা করার ফলে তাঁদের স্বভাব ও ব্যবহারে নাকি বেশকিছু বদল লক্ষ করেছেন নওয়াজ ও তাঁর স্ত্রী। যা রীতিমতো ভাবিয়ে তুলেছে নওয়াজ এবং তাঁর স্ত্রীকে। সে কারণেই দুই সন্তানকে দুবাইয়ে রেখে স্কুলে পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সিদ্দিকি দম্পতি। কারণ এইমুহূর্তে ভারতে যা করোনা পরিস্থিতি, তাতে কবে ফের স্কুল চালু হবে, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তবে কতদিন তাঁদের দুই সন্তানকে দুবাই রাখবেন, সে বিষয়ে এখনও কিছু ঠিক করেননি তাঁরা।
সেসময় এই নিয়ে কটাক্ষ কম হয়নি। নেট-নাগরিকরা লিখেছিলেন, ‘এই লোকটাই দেশে গিয়ে চাষ করার অভিনয় করত’, ‘সেই তো ছেলে-মেয়েদের বলিউডেই লঞ্চ করবেন, তাহলে এত নাটক কেন, নাসায় তো পাঠাবেন না’! অবশ্য এখনও পর্যন্ত গোটা বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি নওয়াজ। আলিয়া জানিয়েছেন, ‘হ্যাঁ, আমরা চারজন যাওয়ার জন্য একেবারে তৈরি। এখন শুধু টিকিট বুক করা বাকি। ওরা ওখানেই থাকবে। আমরা ফিরে আসব।’