নওয়াজউদ্দিনি সিদ্দিকি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনলেন অভিনস্ত্রী আলিয়া,ওরফে অঞ্জনা কিশোর পাণ্ডে। অভিযোগ নওয়াজ গায়ে হাত না তুললেও অভিনেতার ভাই শামাস সিদ্দিকি আলিয়াকে মারধর করেছে। এই প্রসঙ্গে এখনও মুখ খোলেননি নওয়াজ। মঙ্গলবার নওয়াজের জন্মদিনেই তাঁর বিরুদ্ধে বিবাহ বিচ্ছেদের খবর সামনে আসে। জানা গিয়েছিল, ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেছেন অভিনেতার স্ত্রী।
বলিউডলাইফকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে নওয়াজের স্ত্রীর অভিযোগ নওয়াজ আমার উপর কোনদিনও হাত তোলেনি।কিন্তু ওর চিত্কার,ঝগড়া-আমার পক্ষে অসহনীয় হয়ে উঠেছিল।বলতে পারেন শুধু ওটাই(মারধর) বাকি ছিল।কিন্তু ওর পরিবার আমার উপর মারাত্মক মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করেছে। ওর ভাই আমাকে মেরেছে পর্যন্ত। ওর মা,ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী মুম্বইতে আমাদের সঙ্গেই থাকত। অনেক বছর ধরে আমি এগুলো সহ্য করছি। ওর প্রথম স্ত্রী ঠিক একই কারণে ওকে ছেড়ে গিয়েছিল।
‘এটা একটা প্যাটার্ন। সিদ্দিকি পরিবারের স্ত্রীরা ওদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত সাতটা এই ধরণের মামলা দায়ের করেছে। আজ পর্যন্ত চারটে ডিভোর্স হয়েছে ওই পরিবারে, এটা পাঁচ নম্বর। ওদের পরিবারটাই ওইরকম। লোকলজ্জা ঢাকার অনেক ব্যর্থ প্রচেষ্টা করেছি,কিন্তু কাউকে ভালোবাসলেও কতটা সহ্য করা যায়?’
আলিয়া এই মাসের শুরুতেই নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির বিরুদ্ধে ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেছেন,পাশাপাশি সন্তানদের কাস্টডিও সম্পূর্নভাবে নিজের কাছে রাখবার আবেদন জানিয়েছেন কোর্টের কাছে। আলিয়ার তরফে নওয়াজের কাছে ভরণপোষণের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দাবি করা হয়েছে।
‘আমার আত্মসম্মানটা ওরা সবাই মিলে ধ্বংস করে দিয়েছে।তুমি একভাবে বড় হয়েছে,তোমার মা-দাদারা তোমাকে যেভাবে মানুষ করেছে সব ভুলে তুমি নতুন পরিবারে এলে..সেখানে জোর করে তোমাকে ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য করা হল!বিয়ের জন্য সেটা দরকার ছিল,আমিও ওকে ভালোবেসে রাজি হয়েছিলাম।তারপর আমার জীবনটা খুব বাজে ভাবে পাল্টে গেল।তারপর মনে হল জীবনে তুমি কেউ নও,তোমার কোনও অস্তিত্ব নেই। তুমি দশ বছর ধরে একা রয়েছে ওর সন্তানদের সঙ্গে। সব একাই করছো। তাহলে একসঙ্গে থাকবার কি মানে,তার চেয়ে একা থাকাই ভালো। তাই এই সিদ্ধান্ত’,সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন আলিয়া।
সন্তানদের জন্য নওয়াজউদ্দিনের হাতে নাকি সময় নেই। আলিয়ার অভিযোগ, 'আমাদের সন্তানরা মনেও করতে পারবে না শেষবার বাবাকে কবে দেখেছে! ৩-৪ মাস হল ছেলেমেয়ের সঙ্গে ও দেখা করেনি। ওরা একদমই বাবার সঙ্গে জড়িত নয়,জিজ্ঞাসাও করেনা বাবার কথা। আমি আমার সন্তানদের সম্পূর্ন কাস্টডি চাই।
১১ বছর আগে আলিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় নওয়াজের। ৭ মে ডিভোর্সের মামলা দায়ের করেছেন নওয়াজ। তবে করোনাভাইরাস লকডাউনের জন্য সরাসরি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো সম্ভবকর হয়নি। ই-মেল ও হোয়াটস্যাপের মাধ্যমে নওয়াজকে বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তবে এখনও কোনও উত্তর আসেনি বলে জানিয়েছেন আলিয়া।
আপতত উত্তর প্রদেশের বুধানায় দেশের বাড়িতে রয়েছেন নওয়াজ। ১৫ মে মুম্বই থেকে সড়কপথে সেখানে পৌঁছান অভিনেতা। টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন বোনের মৃত্যুর পর মায়ের স্বাস্থ্য ভেঙে পড়ার জন্যই লকডাউনেও দেশের বাড়ি ফিরেছে তাঁর পরিবার।