গত ২৩ জুন মুক্তি পেয়েছে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি এবং অভনীত কৌর অভিনীত ছবি ‘টিকু ওয়েডস শেরু’। এই ছবিটি অ্যামাজন প্রাইম ভিডিয়োতে মুক্তি পেয়েছে। ছবিটির প্রযোজনা করেছেন কঙ্গনা রানাওয়াতের প্রযোজনা সংস্থা মণিকর্নিকা ফিল্ম। এখানে ২৮ বছরের ছোট অভনীতের সঙ্গে প্রেম করতে দেখা যাচ্ছে নওয়াজকে। শুধু তাই নয়। তিনি অভিনেত্রীর ঠোঁটে ঠোঁট ডুবিয়েছেন। মাখো মাখো রোম্যান্টিক সিনে তাঁদের বারবার দেখা গিয়েছে। আর এটার পরই শুরু হয়েছে সমালোচনা। অনেকেই তাঁকে কটাক্ষ করেছেন। বিদ্রুপ করেছেন। আগেও নওয়াজ এসবের বিরুদ্ধে জবাব দিয়েছিলেন। আবারও সেই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তিনি।
‘টিকু ওয়েডস শেরু’ ছবিতে নওয়াজউদ্দিন একজন জুনিয়র আর্টিস্টের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অন্যদিকে অভনীতকে দেখা গিয়েছে এমন এক যুবতীর চরিত্রে যিনি বলিউডে নিজের জায়গা বানাতে চান। নাম করতে চান। খ্যাতি পেতে চান। আর ঘটনাচক্রে দুজনে কাছাকাছি আসেন। হন ঘনিষ্ঠও। গড়ে ওঠে সম্পর্ক।
এই ছবিতে তাঁর এবং অভনীতের রসায়ন প্রসঙ্গে নওয়াজ বলেন, 'সম্পর্কে বয়সের ফারাক ঠিক কীভাবে কোনও চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়? আমি তো জানি না। আপনার কি আমাকে দেখে বয়স্ক লাগছে? আমি আজ থেকে ১০ বছর পরেও যদি রোম্যান্টিক চরিত্র বা ছবি পাই তাহলেও করব। আমি এতে বিশ্বাস করি, এবং জানি আমি এই চরিত্র করতে পারব। আমি নিজেকে তার জন্য প্রস্তুত রাখব।'
তিনি কথা প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘শাহরুখ খানও তো করে। আর সে সেটা করে কারণ লোকজন তাকে রোম্যান্টিক হিরো হিসেবেই দেখতে চায়। শাহরুখ মানেই যেন রোম্যান্স। আমরা আজকালকার যুগের ছেলেমেয়েদের মতো নই যারা হোয়াটসঅ্যাপেই প্রেমে পড়ে আবার সেখানেই ব্রেকআপ করে। আমরা ভালোবাসাটা কী জানি এবং বুঝি। আমি ছোটবেলায় আমার গ্রামের এক মেয়ের জন্য ভরা গরমে তার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। কারণ আমি তাকে ভালোবাসতাম। ভালোবাসাটা সত্যিই জরুরি। এটাই আপনাকে শেখায় যে আপনার চরিত্রে কী করে রোম্যান্টিসিজম আনতে হবে। আপনি কাউকে ভালোবাসেন যদি তাহলে আপনি সেই বিষয়ে প্যাশনেট হবেনই। আপনি যদি আপনার কাজ ভালোবাসেন তাহলেও আপনি সেই বিষয়ে প্যাশনেট হবেন।’