বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই খবরের শিরোনামে আছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। গত ২ মার্চ, অভিনেতা তাঁর অসুস্থ মায়ের সঙ্গে দেখা করতে তাঁরই মুম্বইয়ের বাংলোতে যান। কিন্তু তাঁকে সেখানে ঢুকতেই দেওয়া হয় না। দেখাও করতে দেওয়া না মায়ের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। আর এই গোটা ঘটনার একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যায় নওয়াজ তাঁর বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করছেন, কিন্তু তাঁর ভাই ফইজুদ্দিন তাঁকে বাঁধা দেন। মাকে এদিন দেখতেই এসেছিলেন অভিনেতা। কিন্তু সেই দেখা হয়ে ওঠেনি।
গত কয়েকদিনে অভিনেতার মায়ের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তিনি এমনই অসুস্থ ছিলেন, সেটা আরও খারাপ হয়েছে গত কয়েকদিনে। তিনি একটি কালো শার্ট, প্যান্ট এবং মাস্ক পরে এদিন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসেন, কিন্তু সেটা সম্ভব হয় না।
তাঁকে তাঁর এই বাংলোর গেটের কাছেই তাঁর ভাই ফইজুদ্দিন এবং অন্যান্য কিছু ব্যক্তি আটকান। অভিনেতা তাঁদের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে চান এবং অনুরোধ করতে থাকেন যাতে তাঁকে ভিতরে যেতে দেওয়া হয়। এর ফলে আরও লোক জড়ো হয়ে যায় সেখানে, তাঁরাও নওয়াজউদ্দিনকে পরামর্শ দেন ভিতরে না যাওয়ার। তাঁকে বলা হয় বাড়ির ভিতরে যাওয়ার তাঁর অনুমতি নেই।
বর্তমানে অভিনেতার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকির একটি আইনি লড়াই চলছে। তিনি পুলিশের কাছে গিয়ে দাবি করেছেন যে অভিনেতা এবং তাঁর মা নাকি তাঁর এবং তাঁদের সন্তানদের উপর অত্যাচার করতেন। যদিও গোটা বিষয় নিয়ে অভিনেতা কোর্টে গিয়েছেন এবং সন্তানদের কাস্টডি দাবি করেছেন। তিনি বম্বে হাইকোর্টে এই আবেদন জানিয়েছেন।
গত মাসের শেষদিকে অভিনেতাকে বাধ্য করা হয় যাতে তিনি তাঁর বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র কোথাও গিয়ে থাকেন। এরপর থেকে তিনি একটি হোটেলেই থাকছেন। জানা গিয়েছে আলিয়ার সঙ্গে এই সমস্যা মেটার পরই নাকি তিনি বাড়ি ফিরতে পারবেন।
নওয়াজউদ্দিনের স্ত্রী আলিয়া জানিয়েছেন যে অভিনেতা নাকি তাঁদের দ্বিতীয় সন্তানকে অস্বীকার করেছেন এবং তাঁর মা মেহেরুন্নেসা নাকি তাঁকে তাঁদের মুম্বইয়ের বাড়িতে ঢুকতে দেননি। শুধু তাই নয়, তিনি সম্প্রতি তাঁর উপর হওয়া ধর্ষণের অভিযোগও দায়ের করেছেন থানায়।