২০১৩ সালে মুক্তি পেয়েছিল 'দ্য লাঞ্চবক্স'। ঠিক আট বছর আগে। অল্প বাজেটের ছবি হওয়া সত্বেও এই ছবি সমালোচকদের তারিফ কুড়োনোর পাশাপাশি হাসি ফুটিয়েছিল প্রযোজকের মুখেও। 'লাঞ্চবক্স'-এ প্রথমবার পর্দায় একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন ইরফান খান-নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। তাঁদের অভিনয়ের গুণে একলাফে এই ছবির জৌলুস বেড়ে গেছিল আরও বহুগুণ। এছাড়াও নজর কেড়েছিল নিমরতের অভিনয়ও।
সম্প্রতি, 'লাঞ্চবক্স' প্রসঙ্গে স্মৃতির ঢাকনা খুললেন নওয়াজউদ্দিন। প্রথমেই জানালেন এই ছবি মুক্তির পরে তাঁকে ও ইরফানকে ঘিরে যে কথা বি-টাউনে ছড়িয়েছিল, তা শুধুই গুজব। আসলে, শোনা গেছিল এই ছবির শ্যুটিং চলাকালীন এবং তারপরেও নাকি প্রায় মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল ইরফান-নওয়াজের। মাছি তাড়ানোর মত সেকথা উড়িয়ে দিয়ে নওয়াজ জানান, ইরফান ছিলেন তাঁর কাছে আপন দাদার মতো। এমনকি একবার অস্কারজয়ী পরিচালক ড্যানি বয়েলের কাছেও নওয়াজকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন ইরফান। তার জন্য মোটেই ওই বিখ্যাত হলি-পরিচালককে আগে থেকে জানিয়ে রাখেননি 'লাইফ অফ পাই'-এর অভিনেতা।
এখানেই না থেমে এ ব্যাপারে আরও অনেককিছু বলেছেন নওয়াজ। জানান, শুধু এই ছবির শ্যুটিংয়েই ইরফানের সঙ্গে মনে রাখার মত অজস্র ঘটনা থেকে যাবে তাঁর স্মৃতিতে। এমনকি এই ছবিতে কাজ করার বহু বছর আগে থেকেই ইরফানের সঙ্গে শুধু পরিচয়ই নয়, রীতিমতো সখ্যতা ছিল তাঁর। এইসময়ই 'স্লামডগ মিলিওনেয়ার' ছবি খ্যাত অপরিচালক ড্যানি বয়েলের প্রসঙ্গ তোলেন 'গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর'-এর নায়ক।
বলি-অভিনেতার কথায়, 'তখন উনি ভারতে। ওঁর বড় একজন নামজাদা হলিউড পরিচালক, তাঁকে বিন্দুমাত্র আগে থেকে কিছু না জানিয়ে আমাকে নিয়ে গিয়ে তাঁর কাছে উপস্থিত করেছিলেন ইরফান ভাই। এতটা ভালোবাসতেন আমাকে। আমি আর ইরফান দু'জনেই ওই ছবিতে কাজের সুযোগ পেয়েছিলাম। শেষপর্যন্ত অবশ্য অন্য একটি ছবির শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় 'স্লামডগ'-এ কাজ করা হয়নি আমার'।
বক্তব্য শেষে হাসতে হাসতে নওয়াজের সংযোজন, 'অজস্র টুকিটাকি ব্যাপার ইরফান ভাইয়ের থেকে শিখেছি আমি। এমনকি এটাও যে কীভাবে হলিউডের নামি-পরিচালককে আগে থেকে না জানিয়ে সটান তাঁর কাছে হাজির হওয়া যায়'।