নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবির আধিকারিকরা রবিবার স্পষ্টতই জানিয়ে দিলেন আইআরএস অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ে নিয়ম ভেঙেছেন। তাঁর উচিত হয়নি কোনও কেসে অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে এভাবে কথা বলা।আরিয়ান খান কেস কাণ্ডে শাহরুখ খানের সঙ্গে তাঁর কথা বলা উচিত হয়নি বলেই তাঁরা এদিন জানিয়ে দেন।
সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআই যখন সমীরের বিরুদ্ধে কিং খানের থেকে টাকা আদায় করার একটি কেস এনে এফআইআর করে তখন তিনি বম্বে হাইকোর্টে তাঁর এবং শাহরুখের মধ্যে হওয়া কথোপকথনের ছবি প্রকাশ্যে এনেছেন নিজের স্বপক্ষে। এরপরই এনসিবির তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে কেন একজন ইনভেস্টিগেশন অফিসার এভাবে কোনও অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে এই ধরনের বার্তালাপে জড়াবেন? কেন তিনি এই বিষয়ে আগে কিছু এই ইনভেস্টিগেশনের মাথায় যাঁরা ছিলেন সেই অফিসারদের জানাননি, সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
এছাড়া সমীরের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ উঠেছে। তিনি কোর্টের কাছে সেই ফোন জমা দিতে পারেননি যা দিয়ে শাহরুখের সঙ্গে তিনি মেসেজ চালাচালি করতেন। এমনকি তাঁর পর যে অফিসার এই কেসের দায়িত্ব নেন তাঁকেও নাকি তিনি বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন।
সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে আরিয়ান খান মাদক মামলায় ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি নাকি শাহরুখের থেকে প্রথমে ২৫ কোটি, পরে ১৮ কোটি টাকা দাবি করেন এই ড্রাগ কেস থেকে আরিয়ানের নাম সরানোর জন্য। এই মামলায় গত রবিবার, ২১ মে সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন সমীর। এদিন তাঁকে দ্বিতীয়বারের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর আগে গত শনিবার, ২০ মে টানা ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে।
সমীর তাঁর বিরুদ্ধে আনা মামলার বিরোধিতা করে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। সোমবার ২২ মে এই কেসের পরবর্তী শুনানি আছে। তাঁকে গ্রেফতার করতে নিষেধ করেছে কোর্ট, একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন তদন্তকারী সংস্থাকে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে সাহায্য করবেন।