মাদককাণ্ডে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার হাতে গত রবিবার গ্রেফতার হন শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান। এরপর সময় যত গড়িয়েছে বিতর্ক ততই বেড়েছে। আরিয়ান খান ও এই মামলায় গ্রেফতার আরিয়ানের বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচার এনসিবি হেফাজতের মেয়াদ ফুরোচ্ছে আজ। এদিন আদালতে তোলা হল তিন অভিযুক্তকে। আরিয়ান, আরবাজ ও মুনমুনের পাশাপাশি এই মামলায় গ্রেফতার অপর পাঁচ অভিযুক্তকেও এদিন কোর্টে তুলল এনসিবি। এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ আরিয়ান খানকে নিয়ে আদলতে পৌঁছায় এনসিবির দল। শাহরুখ পুত্রের পরনে ছিল কালো টি-শার্ট ও জিনস, মুখ ঢাকা মাস্কে, মাথায় সাদা টুপি পরেছিলেন আরিয়ান।
এদিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রধান আরএম নেরলিকারের এজলাসে চলছে এই মামলার শুনানি। এনসিবি রিমান্ডের কপিতে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্টসহ বাকি ছয় জনের কাস্টডি দাবি করেছে।
এনসিবি রিমান্ডের কপিতে জানিয়েছে, আরিয়ান খানকে জেরা করে এই মামলায় ১৭ নম্বর অভিযুক্ত অর্চিত কুমারকে গতকাল গ্রেফতার করেছে এনসিবি। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে নিষিদ্ধ মাদকও। এনসিবির দাবি অর্চিত মাদকচক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। ইতিমধ্যেই ৯ অক্টোবর পর্যন্ত অর্চিতদের এনসিবি হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত।
অর্চিতের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে আরিয়ান খানদের জেরা করতে চায় এনসিবি।
সূত্রের খবর গত কয়েকদিনে এনসিবি-র পক্ষ থেকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচাকে। তাঁদের ফোনও ফরেন্সিক টিমের কাছে পাঠানো হয়েছে বিস্তারিত তথ্যের জন্য। তবে ফাঁকা সময়ে পড়ার জন্য বিজ্ঞানের বই দেওয়া হয়েছে আরিয়ানকে। যা সে নিজেই NCB-র কাছে চেয়েছিল পড়ার জন্য, ইন্ডিয়া টুডে-র এক রিপোর্টে এমনই দাবি করা হয়েছে।
শনিবার রাতে এক প্রমোদতরী থেকে ফিল্মি কায়দায় আটক করা হয় আরিয়ান খান-সহ আরও অনেককে। যার মধ্যে আছে তিন হাই-প্রোফাইল নাম-- শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান, মুম্বইয়ের মডেল মুনমুন ধমেচা, ও আরিয়ানের বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট। শনিবার রাতভোর জেরার পর রবিবার দুপুরের দিকে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। সোমবার আদালতের তরফে জানানো হয় ৭ অক্টোবর অবধি এনসিবির হেফাজতে থাকবেন তাঁরা।