বিয়ের বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। ভালোবাসার মাসেই ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে সাত জনমের সম্পর্কে বাঁধা পড়বেন টেলিভিশনের দুই জনপ্রিয় তারকা- তৃণা সাহা ও নীল ভট্টাচার্য। পর্দার গুনগুনের সঙ্গে পর্দার নিখিলের বিয়ের দেখতে উদগ্রীব অনুরাগীরা। তার বিয়ের ঠিক ২৫ দিন আগে, এনগেজমেন্ট পর্ব সেরে ফেললেন এই প্রেমিক জুটি।
শনিবার বসেছিল নীল তৃণার এনগেজমেন্ট ও সংগীতের আসর। এদিন বাগদানের জন্য বেবি পিঙ্ক শাড়িতে সেজেছিলেন তৃণা, অন্যদিকে বেইজ রঙের বন্ধগলায় দেখা গেল নিখিলকে।
আগামী ৪ঠা ফেব্রুয়ারি সাতপাকে বাঁধা পড়ছেন নীল-তৃণা। শহরের এক নামী ক্লাবে বসবে এই জুটির বিয়ের আসর, এরপর টলিউডের বন্ধুদের জন্য শানদার রিসেপশনের ব্যবস্থা থাকছে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিন। বিয়েতে একদম সাবেকি বাঙালি বধূর সাজেই সাজবেন তৃণা। প্রি-ওয়েডিংয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গেল ইতিমধ্যেই। দুজনের এনগেজমেন্টের আসরে হাজির ছিল রণজয়,সোহিনী সহ টলিগঞ্জের কাছের বন্ধুরা।
সংগীতের অনু্ষ্ঠানের জন্য নীল রঙের পোশাকে সাজলেন হবু বর-কনে। নীল রঙের লেহেঙ্গা, এবং কমলা চোলিতে পাওয়া গেল তৃণাকে। নিখিল সেজেছিলেন নীল রঙের বন্ধগলা আর সাদা চুড়িদারে।
নীল-তৃণার সম্পর্কের বয়স ১০ বছর। প্রথমবার এমবিএ ক্লাসের আলাপ দুজনের। নীলের জন্য বলা যায় লাভ অ্যাট ফাস্ট সাইট, অন্তত প্রথম দিনই তৃণাকে মনে ধরেছিল তাঁর। যদিও নীলকে নাকি ক্লাসে নোটিশই করেননি তৃণা। যদিও হবু স্ত্রীর মনে ঠিক জায়গা করে নিয়েছিলেন নীল। তবে চড়াই-উতরাই কম আসেনি এই সম্পর্কে। দুই ভাগে বিভক্ত তাঁদের প্রেম কাহিনি। ২০১১ সালের শেষের দিকে প্রেম সম্পর্কে সাময়িক বিরতি এসেছিল, সেই সময় পড়াশোনার জন্য দিল্লিতে চলে যান তৃণা। তবে ভাগ্যের খেল বোধহয় একেই বলে। কলকাতায় ফেরার পর দুজনেই একই পথের পথিক হয়ে উঠেন। শুরু হয় অভিনয় কেরিয়ার। অবশেষে পরিণতি পাচ্ছে জুটির ১০ বছর পুরোনো প্রেম।