টিআরপি তালিকায় হইহই করে চলছে এখন নিম ফুলের মধু। মাত্র সপ্তাহখানেক আগে টেলিকাস্ট শুরু হলেও দর্শক মনে পাকাপক্ত ছাপ ফেলে টপ ৫-এও জায়গা পাকা করেছে। ভালোবাসা পাচ্ছে পল্লবীর চরিত্র পর্ণা। প্রাচীন পন্থী শাশুড়়ি আর বস্তাপচা ভাবনাচিন্তা রাখা শ্বশুরবাড়ির যৌথ পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে চলতে একেবারে হিমশিম খাচ্ছে। ধারাবাহিকে রুবেল দাসকে দেখা যাচ্ছে পর্ণার স্বামী সৃজনের চরিত্রে।
বাস্তবে পর্ণার সঙ্গে কতটা মিল রয়েছে পল্লবীর? জবাব আসে, ‘আমার নিজের সঙ্গে পর্ণার অনেকটা মিল আছে। পর্ণার মতো পল্লবীও কিন্তু হাসিঠাট্টা করতে ভালোবাসে। নিম ফুলের মধু-র পর্ণা যৌথ পরিবারকে এত ভালোবাসে যে মানিয়ে-গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। পল্লবীর মধ্যেও পর্ণার এই গুণ রয়েছে।’
তাহলে কি পল্লবীও পর্ণার মতো যৌথ পরিবারের বিয়ে করবে? অভিনেত্রীর জবাব আসে, ‘আসলে ছোটবেলা থেকে তো মা-বাবার ভালোবাসা পাই নি। তাই আমি চাইব যে বাড়িতে আমার বিয়ে হবে সেখানে যেন আমি মা-বাবার ভালোবাসা পাই। আর আমার যে বর হবে সে যেন আমার খুব ভালো বন্ধু হয়। আমাকে সবরকমভাবে সাপোর্ট করবে। একজন দায়িত্বপূর্ণ মানুষ হতে হবে।’
‘কে আপান কে পর’ ধারাবাহিকের জবা হিসেবে প্রথম দর্শক মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন পল্লবী। এর আগে একবার দিদি নম্বর ১-এ এসে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ছোটবেলাতেই বাবা-মাকে হারিয়েছেন তিনি। ক্লাস ২-৩ তে পড়াকালীন তাঁর মায়ের ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে। বাবা এবং দাদা তাঁর মাকে চিকিৎসার জন্য চেন্নাই, বেঙ্গালুরু যাতায়াত করতেন প্রায়শই। তখন থেকে খুদে পল্লবী পিসি বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। মায়ের আদরেই পিসির কাছে মানুষ পল্লবী।
এরপর ক্লাস টেনে পড়ার সময় আইসিএসই-র প্রথম পরীক্ষার দিন সকালে তাঁর বাবার মৃত্যুর খবর আসে। তবে বাবার কথা রাখতে পরীক্ষায় বসেন অভিনেত্রী। পরীক্ষা দিয়ে ফিরে বাবার সৎকার কাজ সম্পন্ন করেন। বর্তমানে দাদা-বৌদির সঙ্গে থাকেন। তাঁর একটি ছোট ভাইঝিও আছে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)