জীবনই মানুষের সবচেয়ে বড় শিক্ষাগুরু। সেই জীবন থেকে শিক্ষা নিয়েই অনুরাগীদের উদ্দেশে একটা বড় উপদেশ দিলেন অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা, ‘বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ো না’। তিনি জানান, এই কাজ করে তিনি নিজে অনেক মুশকিলের মুখোমুখি হয়েছেন। নীনা গুপ্তা সিঙ্গেল মাদার। মেয়ে মসাবাকে একাই বড় করেছেন অভিনেত্রী। মসাবা গুপ্তা এখন বলিউডের অন্যতম সফল ফ্যাশন ডিজাইনার। তবে সহজ ছিল না নীনা গুপ্তার এই মাতৃত্বের সফর। সমাজ, পরিবারের অনেকের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে।
আপতত উত্তরাখন্ডের মুক্তেশ্বরে ছুটি কাটাচ্ছেন নীনা গুপ্তা। সেখানেই ‘সচ কহু’ বা ‘সত্যি বলি’ শীর্ষক একটি সিরিজ শুরু করেছেন তিনি। যেখানে সোশ্যাল মিডিয়ায় জীবনের নানান সত্যি অথচ কঠিন বাস্তবের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। এদিন ইন্সটাগ্রামে পোস্ট করা ২ মিনিট ৪ সেকেন্ড দীর্ঘ একটি ভিডিয়োতে ৬০ বছর বসয়ী অভিনেত্রী বললেন, বিবাহিত পুরুষের প্রেম পড়ার পর প্রথম দিকে সব ঠিকঠাক থাকলেও কেমনভাবে সেই সম্পর্ক ভেঙে যায় যখন সেই পুরুষটি তাঁর স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে রাজি হন না।
তিনি বলেন, 'সে বলবে তাঁর স্ত্রীকে সে পছন্দ করে না। অনেকদিন ধরে তাঁদের একসঙ্গে পথ চলতে সমস্যা হচ্ছে। এরপর তুমি তাঁর প্রেমে পড়বে..সে কিন্তু বিবাহিত পুরুষ। তারপর তুমি বলবে..তোমরা আলাদ হচ্ছো না কেন? সে বলবে, আমাদের সন্তান রয়েছে, তাই আমি ডিভোর্স চাই না, দেখা যাক কী হয়! এরপর তোমরা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করা শুরু করবে। সে (স্ত্রীকে) মিথ্যা বলে তোমার সঙ্গে ছুটি কাটাতে যাবে। ধীরে ধীরে বিষয়টা জটিল হয়ে যাবে। এরপর তুমি তাঁর সঙ্গে রাত কাটাতে চাইবে, তোমরা হোটেলে যাবে তারপর তোমরা আরও রাত একসঙ্গে কাটাতে চাইবে এবং শেষমেষ তুমি বিয়ে করতে চাইবে। কিন্তু সে তাঁর স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে রাজি হবে না। সে বলবে অপেক্ষা কর,বিষয়টা সহজ নয়, সম্পত্তি রয়েছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টস রয়েছে। তারপর তুমি মেজাজ হারাবে,অবসাদে ভুগবে, বুঝতে পারবে না কী করবে? শেষমেষ তুমি তাঁর থেকে দূরে সরে আসতে চাইবে কারণ তোমার জীবনে অত সমস্যা তুমি সমালাতে পারবে না। তারপর কী করবে?'
আশির দশকে ক্যরিবিয়ান ক্রিকেট তারকা ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে গভীর প্রেম সম্পর্ক ছিল নীনা গুপ্তার। তাঁদের বহুচর্চিত রোম্যান্স সেই সময় সংবাদ শিরোনামে আসত হামেশাই। ১৯৮৯ সালে তাঁদের কন্যা মাসাবার জন্ম হয়। তবে কোনওদিনই নীনা গুপ্তাকে বিয়ে করেননি ভিভ রিচার্সড। স্ত্রী মারিয়মকে ডিভোর্স দিতে রাজি হননি ভিভ।
সিঙ্গল মাদার হওয়ার নীনার সিদ্ধান্তের সেই সময় অনেকে প্রশংসা করেছিল,অনেকে আবার সমালোচনাও করেছিল। এর আগে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, 'বিয়ে না করে মা হয়েছিলাম বলে বলিউডে কাজ পেতে অসুবিধা হয়েছে'। ২০০৭ সালে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট বিবেক মেহরাকে বিয়ে করেন নীনা গুপ্তা।
বক্স অফিসে নীনা গুপ্তার শেষ রিলিজ ছিল শুভ মঙ্গল জ্যায়াদা সাবধান। বধাই হো-র পর এই ছবিতেও তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।