আশির দশকে কুমারী মা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নীনা গুপ্তা, একথাই প্রমাণ করে দেয় কতখানি ‘স্বাধীনচেতা’ নারী তিনি। নিজের শর্তে বাঁচেন তিনি, তবে তাই বলে জীবনে কঠিন পরিস্থিতি তাঁকে ঘিরে ধরেনি এমনটা নয়। চলতি সপ্তাহেই প্রকাশিত হয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর আত্মজীবনী ‘সচ কহুঁ তো’। আর এই বইয়ের পাতাতেই নিজের ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনের চড়াই-উতরাই কলমবন্দি করেছেন নীনা।
বইয়ের একটি অধ্যায়ে উল্লেখ রয়েছে ‘খলনায়ক’ (১৯৯৩) ছবির সুপারহিট গান ‘চোলি কে পিছে’-র শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতার কথা। এই ছবি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন সুভাষ ঘাই। নীনা জানিয়েছেন, কেমনভাবে এই গানের জন্য নীনার লুক দেখে রেগে গিয়েছিলেন পরিচালক, এবং মুখের উপর দাবি জানিয়েছিলেন- ‘প্যাডেড ব্রা’ পরবার। এই ঘটনা বেজায় লজ্জায় ফেলেছিল অভিনেত্রীকে।
যখন আমি প্রথম শুনলাম ‘চোলি কে পিছে গানটা, আমার মনে হয়েছিল এটা খুব ক্যাচি একটা গান। কিন্তু যখন আমাকে যখন সুভাষজি জানালেন এই গানে আমার ভূমিকা কী হবে তখন আমি খুব খুশি হইনি। তবে আমার অংশটা সেটা আমার খুব ভালো বন্ধু ইলা অরুণ গেয়েছেন এটা নিয়ে আমি বেশ আনন্দিত ছিলাম’।
নীনা আরও লেখেন, ‘ওরা আমাকে গুজরাতি লোকগানের পোশাক পরিয়ে সুভাষজির কাছে পাঠাল, লুক ঠিক আছে কিনা যাচাই করবার জন্য। উনি চিত্কার করে উঠলেন! বললেন- না,নাা, না! কিছু ভরো। আমি তো লজ্জায় লাল হয়ে গিয়েছিলাম। আমি মনে হয়, উনি আমার চোলির কথা বলছিলেন এবং ওঁনার মতে সেটা আরও পরিপূর্ণ দেখানোর দরকার ছিল। আমি জানি উনি কোনও ব্যক্তিগত মন্তব্য করেননি… নিশ্চয়ই ওঁনার ভাবনায় কিছু একটা ছিল। সেইদিন আমি শ্যুট করিনি। পরের দিন আমাকে ওঁনার সামনে নিয়ে যাওয়া হল অন্য একটা পোশাকে, যার নীচে ছিল একটা মারাত্মক ভারী প্যাডেড ব্রা। দেখে মনে হল উনি সন্তুষ্ট হয়েছেন। সুভাষ ঘাই খুব বেশি খুঁতখুতে মানুষ, ওঁনার কী চাই, কেমন চাই- সে ব্যাপারে আপোস করেন না… সেই কারণেই উনি এতো বড়োমাপের পরিচালক’।