গত বছর লকডাউনের সময় প্রথমবারের জন্য আক্ষরিক অর্থে 'ঘরকন্না' করেছেন তিনি ও তাঁর স্বামী বিবেক মেহরা। জানালেন, বর্ষীয়ান বলি-অভিনেত্রী নীনা গুপ্তা স্বয়ং। নীনার কথায় তাঁদের বিবাহিত জীবনে এই প্রথমবার তাঁরা 'স্বামী-স্ত্রী'-এর মতো একসঙ্গে থেকে সংসার সামলিয়েছেন। মুক্তেশ্বরে নিজেদের 'হলিডে হোম'-এ গতবছর লকডাউনের সম্পূর্ণ সময়টুকু কাটিয়েছেন তাঁরা। প্রায় কুড়ি বছরের ওপর সম্পর্কে থাকার পর ২০০৮ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন নীনা ও বিবেক। উল্লেখ্য, লন্ডন থেকে ভারতগামী এক বিমানে প্রথমবারের জন্য দেখা হয়েছিল এই জুটির। ধীরে ধীরে জমে ওঠে আলাপ।
একসঙ্গে 'ঘর' করার প্রসঙ্গে নীনা জানিয়েছেন গত বছর লকডাউনের সময় ৬ মাস তিনি আর তাঁর স্বামী মুক্তেশ্বরে তাঁদের 'হলিডে হোম'-এ কাটিয়েছেন। নীনার কথায়,' আমার স্বামী সাধারণত বেশির ভাগ সময়টুকু দিল্লিতেই থাকেন আর আমি মুম্বইতে। নিজেদের কাজের স্বার্থেই। তাই বিয়ের পর সম্ভবত এই প্রথম এতটা সময় একসঙ্গে কাটানোর পাশাপাশি আক্ষরিক অর্থে স্বামী স্ত্রী হিসেবেও আমরা সংসার করলাম। ওই সময়টুকুতে পরস্পরকে আরও ভালো করে চিনতে ও বুঝতে পেরেছি আমরা।' এখানেই না থেমে মজা করে এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী আরও জানান যে লকডাউন চললেও যেহেতু বাড়ি থেকে নিজের কাজ সামলাচ্ছিলেন বিবেক তাই একেকটা দিনের বেশিরভাগ সময়ই ফোনে ব্যস্ত থাকতেন উনি। ওই সময়টুকুতে বিবেকের সঙ্গে ' সাইন ল্যাঙ্গোয়েজ' অর্থাৎ ইশারায় কথাবার্তা আদান প্রদান করতেন তিনি। পাশাপাশি নীনা আরও জানালেন যে প্রথম প্রথম এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিবেকের ওপর রাগ করলেও পরে অনড় উপলব্ধি হয় যে নিজেকে খুশি রাখার জন্য সবসময় স্বামীর সাহচর্য তাঁর প্রয়োজন নেই। এরপর থেকেই গান শোনা,বই পড়া শুরু করেন তিনি। মন চাইলে নিজের পুরোনো বান্ধবীদের সঙ্গেও ফোনে জমিয়ে আড্ডাও দিতেন তিনি। বক্তব্য শেষে তাঁর সংযোজন,' লকডাউন আমাকে মানুষ হিসেবেও যথেষ্ট বদলে দিয়েছে। উপলব্ধি করেছি নানান ব্যাপার।'